এই সময়, নলহাটি: ভোটের প্রচারে তাঁকে গদ্দার বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই নিয়ে এবার সরব হলেন অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। সোমবার বীরভূমের নলহাটিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রীতিমত আক্রমণাত্মক ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমাকে গদ্দার বললে, আমি ওঁকে গদ্দারি বলব। এনাফ ইজ এনাফ।’সোমবার দুপুরে মিঠুন চক্রবর্তীর কপ্টার নলহাটিতে নির্ধারিত সময়ে নামলেও, গাড়িতে উঠে সোজা হোটেলে চলে যান তিনি। পরে নলহাটি শহর এলাকায় রোড শো করে ২ নম্বর ব্লকের আকালিপুরের মাঠে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্যের সমর্থনে সভায় যোগ দেন তিনি। রোড শো-র আগে নলহাটিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তাঁকে তীব্র আক্রমণাত্মক সুরে কথা বলতে শোনা যায়।
গদ্দার প্রসঙ্গ টেনে এ দিন তিনি বলেন, ‘আমি কারও বাবা। আমার ছেলে আছে। আমারও কেউ বাবা। এ ভাবে বলা যায়? আমাকে গদ্দার বললে, আমি ওঁকে গদ্দারি বলব। এনাফ ইজ এনাফ। সমাজে যেমন সীতা আছেন, তেমনি শূর্পনখাও আছে।’
রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মিঠুন বলেন, ‘এ বার সরকার পরিবর্তন না হলে, মানুষকে আরও বড় দুর্নীতির মুখে পড়তে হবে। কেউ ওদের আটকানোর থাকবে না।’
তবে এদিনের প্রচারে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়কে ব্যক্তিগত আক্রমণের পথে হাঁটেননি বর্ষীয়ান অভিনেতা। এ দিন তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর মুখে অশালীন ভাষা! তিনি বলছেন, স্লিপ অফ টাং। তা হবে কেন? ওঁর মুখ দিয়ে সব কথা বের হয়ে যায়?’
পাশাপাশি, মুসলিম ভোটারদের উদ্দেশে এ দিন মিঠুন বলেন, ‘বিভ্রান্ত হবেন না। সিএএ নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন নয়। আরেকটা কথা বলি, মুসলিমরা তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ক নন। দুর্নীতি তাদের ভোটব্যাঙ্ক।’