শাহজাহানদের টাকা কালীঘাট পর্যন্ত গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এরপর ভিখারির দশা হবে
২৪ ঘন্টা | ৩০ এপ্রিল ২০২৪
অরূপ লাহা: বিতর্ক মানেই দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার সকালে বর্ধমানের বহিস্কৃত বিজেপি নেতাকে পাশে বসিয়ে চা চক্রে সামিল হলেন বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। যদিও দিলীপের সাফাই, এটা দিলীপ ঘোষের প্রোগ্রাম। এখানে কংগ্রেস, সিপিএম, তৃণমূল সবাই আছে। এটা জেলা সভাপতি বা রাজ্য সভাপতির ব্যাপার নয়, এটা দিলীপ ঘোষের নিজস্ব প্রোগ্রাম, দিলীপ ঘোষের ব্র্যান্ড চা চক্র। নেতা হতে গেলে এসি ঘরে বসে থাকলে হবে না রাস্তায় নামতে হবে। দিলীপ ঘোষ রাস্তায় থাকে।
এ প্রসঙ্গে যাকে নিয়ে বিতর্ক সেই বহিস্কৃত নেতা শ্যামল রায় পাল্টা বলেন, তিনি বিজেপি থেকে বহিস্কৃত হতে পারেন কিন্তু দিলীপ ঘোষের থেকে তিনি বহিস্কৃত নন। আমি আগেই বলেছিলাম যে আমি দলের নীতি আদর্শের সঙ্গে আছি কোন নেতার সঙ্গে নয়। আমি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে কাঠবিড়ালীর মত থাকতে চাই। এদিন প্রাত:ভ্রমণ ও চা চক্রের দ্বায়িত্বে ছিলেন বহিস্কৃত বিজেপি নেতা শ্যামল রায় ও তার দলবল। ইছলাবাদ ইয়ুথ ক্লাবের মাঠে দিলীপ ঘোষ গেলে তার হাতে হকি স্টিক তুলে দেন শ্যামল রায়। উত্তর হাওড়ার বিধায়ক গৌতম চৌধুরীর ভোটারদের শাসানো নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, যারা সমাজবিরোধী তারা এখন নেতা হয়ে গেছে। জনতা এই সব গুণ্ডাদের হারাবে। জনগনের মধ্যে উৎসাহ এসেছে, আতঙ্ক কেটে গেছে। এবার জনতা লাইনে দাঁড়াবে দমাদম ভোট দেবে ভোটের পর এরা জেলে যাবে। শাহজাহান নিয়ে সুপ্রিম রায় প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, শাহজাহানের মত নেতাদের উপর টিএমসি দাঁড়িয়ে আছে, রাজ্য সরকার দাঁড়িয়ে আছে। আদালত, সিবিআই, ইডি এই সমস্ত পিলারদের ধরছে আর ভাঙছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এরপর ভিখারির দশা হবে। শাহজাহানদের টাকা শুধু মন্ত্রী নয়, কালীঘাট পর্যন্ত গেছে।
এসএসসিতে চাকরিহারা নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, প্রধানমন্ত্রী রোজকার মেলা করে চাকরি বিলিয়ে দেন আর মুখ্যমন্ত্রী টাকা নিয়ে চাকরি বিক্রি করেন, এটাই হচ্ছে পার্থক্য। যারা টাকা নিয়ে চাকরি দিয়েছে ইডি, সিবিআই তাদের পেট থেকে টাকা বার করবে। প্রধানমন্ত্রীর বর্ধমানের সভার মাঠ নিয়ে জটিলতা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, মাঠ ওরা দেবে না। বিকল্প মাঠ হিসাবে সাঁইয়ের মাঠে পরিস্কার শুরু হয়েছে। সম্ভবত সভা ওখানেই হবে। ভোটের পর আমরা এর হিসাব কিতাব বুঝে নেব। অন্যদিকে, তিনি বলেন সংখ্যালঘু দের উন্নয়ন করেছে মোদী। রাস্তাঘাট, জলের ব্যবস্থা করে দিয়েছে, ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য স্টাইপেণ্ডের ব্যবস্থা করে দিয়েছে মোদী। কংগ্রেস ও সিপিএম মুসলিমদের নিয়ে রাজনীতি করেছে আর ক্রিমিনাল বানিয়েছে, ভোটার করে রেখেছে। আর আজকে ওরা তালাক দিয়ে দিয়েছে। এরপর দিদির সঙ্গেও এরকম করবে। প্রসঙ্গত, ত্রিশুল ও লাঠি নিয়ে বিরোধী বাণে বিদ্ধ হয়েছেন দিলীপ। তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। বিরোধীরা কমিশনে নালিশ ঠুকেছেন, তবুও তিনি বেপরোয়া।