• গন্ডগোল থামাতে গিয়ে আক্রান্ত বাগনান তৃণমূল বিধায়ক, ICU-তে দেহরক্ষী!
    ২৪ ঘন্টা | ৩০ এপ্রিল ২০২৪
  • শুভাশিষ মণ্ডল: গণ্ডগোল থামাতে গিয়ে বাগনানের তৃণমূল বিধায়ক অরুণাভ সেনের উপর চড়াও। দুষ্কৃতীদের রডের আঘাতে মাথা ফাটল বিধায়কের দেহরক্ষী। বিধায়ককে বাঁচাতে গিয়ে দেহরক্ষীর চোখেও আঘাত। বেসরকারি নার্সিংহোমে ICU-তে ভর্তি দেহরক্ষী। ঘটনায় আহত ১১ জন, দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি পুলিসের। ঘটনাটি ঘটেছে রাতে বাগনান থানার কলেজ মোড়ে। বাঁশ, লাঠি নিয়ে চড়াও হয় বিধায়কের উপর। বিধায়ককে বাঁচাতে গেলে দেহরক্ষীকে বেধড়ক মারধর। ঘটনার তদন্ত শুরু করছে বাগনান থানার পুলিস।

    ঘটনাটি ঘটেছে রাতে বাগনান থানার কলেজ মোড়ে। জানা যায় ওই দিন  বাগনান থানার বাকসিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা সেরে বাগনান বিধায়ক অরুনাভ সেনের বাড়ির ঢিল ছড়া দূরত্বে একটি চায়ের দোকানে তৃণমূল কংগ্রেসের কয়েকজন সমর্থক চা খাচ্ছিলেন এবং আড্ডা দিচ্ছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী, বিধায়কের দাবি, এরা প্রত্যেকেই সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতি। তারা রড, লাঠি, লোহার চেন প্রভৃতি নিয়ে আক্রমণ চালায় তাদের উপর। ঘটনা বাগনান বিধায়কের বাড়ির ৩০০-৪০০মিটার দূরে ঘটায় বিধায়কের কাছে খবর পৌঁছে যায় খুব দ্রুত। এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে খবর পেয়েই বিধায়ক অরুনাভ সেন এবং তার দেহরক্ষী রাজকুমার মাঝি ডিউটিরত অবস্থায় ঘটনাস্থল কলেজ মোড়ে পৌঁছায়।পৌঁছন মাত্রই বিধায়ককে ঘিরে ধরে দুষ্কৃতীরা বাঁশ, লাঠি নিয়ে চড়াও হয় বিধায়কের উপর। সেই সময় বিধায়ককে বাঁচাতে গেলে তার দেহরক্ষী রাজকুমার মাঝিকেই দুষ্কৃতীরা রড, বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। দুষ্কৃতীদের রডের আঘাতে দেহরক্ষীর মাথা ফেটে যায়, চোখেও আঘাত লাগে গুরুতর। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় তৃণমূলের আরও লোকজন। প্রতিরোধের মুখে পড়ে দুষ্কৃতীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস। দুষ্কৃতীদের খোঁজে রাতেই চলছে পুলিসের তল্লাশি। ঘটনায় আহত হয় ১১ জন। এদের কারও হাত ভেঙেছে কারও মাথায় চোট, কারও শরীরে চোট, কারও পায়ে আঘাত। প্রত্যেককে বাগনান হাসপাতালে চিকিৎসা জন্য পাঠানো হয়।বিধায়ক অরুণাভ সেনের দেহরক্ষী রাজকুমার মাঝিকে বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তার মাথায় তিনটি সেলাই দেন। পাশাপাশি স্ক্যান করানো হয় মাথার চোখেও মারাত্মক চোট পান তিনি। দেহরক্ষীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে তিনিএকটি বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন। বাগনান থানায় অভিযোগ দায়ের। ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে বাগনান থানার পুলিস।বিধায়ক জানান, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবেই এই হামলা। গত বিধানসভা নির্বাচনে খালোড় পঞ্চায়েতের হেতম পুরের একটি সিট সিপিএম জয় লাভ করার পরেই এলাকায় সন্ত্রাসের আবহাওয়া তৈরি করে রেখেছে তারা। একসময় এই কলেজ মোড়েই ১৯৮২ সালে তৎকালীন সময়ে যুব কংগ্রেস নেতা তার পিতা মানস সেনকে খুন করেছিল। সিপিএম হার্মাদরা এবারে ঠিক ওই জায়গাতেই ওরকমই হামলা চালায়। একটা আরও বড় কিছু ঘটে যেতে পারত। প্রতিরোধের মুখে পড়ে এখান থেকে ফিরে যাওয়ার সময় এলাকায় গিয়ে ও বোমাবাজি করে ওই দুষ্কৃতীরা, বলে জানান বিধায়ক অরুনাভ সেন।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)