Covishield Vaccine : কোভিশিল্ড নিয়ে ভারতে জটিল রোগে আক্রান্তের ঝুঁকি? মুখ খুলল সেরাম ইনস্টিটিউট
এই সময় | ৩০ এপ্রিল ২০২৪
আদালতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার সংস্থার স্বীকারোক্তি, তাদের তৈরি কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। কোভিড অতিমারি পর্বে এই কোভিশিল্ড টিকা রাতারাতি কোটি কোটি মানুষের ত্রাতা হয়ে ওঠে। কোভিডে মৃত্যুর হার ঠেকাতে তড়িঘড়ি ভারতেও চালু হয় এই করোনা টিকা। অগুন্তি মানুষ এই টিকার দু'টি, এমনকী বুস্টার ডোজও নিয়েছেন। ফলে মারাত্মক সাইড এফেক্টের খবর প্রকাশ্যে আসতেই আতঙ্কে ছড়িয়ে পড়েছে দেশ। সকলেরই প্রশ্ন, কোভিশিল্ড প্রাপকদের কতটা প্রাণের ঝুঁকি রয়েছে?মুখ খুলল সেরাম ইনস্টিটিউটঅ্যাস্ট্রেজেনেকার স্বীকারোক্তি নিয়ে এবার মুখ খুলল সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। একটি সংবাদমাধ্যমে সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভারতে এখনও পর্যন্ত কোভিশিল্ডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কোনও ঘটনা ধরা পড়েনি। থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোমে (TTS) আক্রান্ত কোনও কোভিশিল্ড প্রাপকের সন্ধান মেলেনি ভারতে।
সেরাম ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতে কোভিশিল্ড উৎপাদনকারী এই সংস্থা মনে করছে, অ্যাস্ট্রেজেনেকা এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার যে স্বীকারোক্তি আদালতে করেছে তা নতুন নয়। বরাবরই কোভিশিল্ডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা জনসাধারণের সামনে তুলে ধরা হয়েছে।
কী স্বীকারোক্তি অ্যাস্ট্রেজেনেকার?আদালতে জমা দেওয়া একটি নথিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা সংস্থা জানায়, তাদের তৈরি করা প্রতিষেধকের কারণে বিরল রোগ থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোমে (TTS) আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এই রোগে আক্রান্ত হলে রক্তে অণুচক্রিকার পরিমাণ কমে যায় এবং রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করে। এই কারণে প্রস্তুতকারী সংস্থাকে গুনতে হতে পারে বিপুল অঙ্কের জরিমানাও।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে জেমি স্কট নামে এক ব্যক্তি অ্যাস্ট্রাজেনেকা সংস্থার ভ্যাকসিন নেওয়ার পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধে যায় তাঁর। জেমি স্কটের মতো আরও অনেক টিকাগ্রহীতাই এরপর অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থদের পরিবারের তরফে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও দায়ের হয়। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই কোভিশিল্ড প্রস্তুতকারী সংস্থার বিরুদ্ধে চলে মামলা। বিভিন্ন নথি এবং তথ্যপ্রমাণ দেখিয়ে নিজেদের নির্দোষের প্রমাণ করার চেষ্টা করলেও শেষরক্ষা হয়নি। মামলা চলাকালীন, আদালত জানিয়ে দেয়, সংস্থার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ যদি সত্যি প্রমাণিত হয় তা হলে মোটা অঙ্কের জরিমানা দিতে হবে। শেষ পর্যন্ত কোভিশিল্ড প্রস্তুতকারী সংস্থা আদালতে স্বীকার করে নিতে বাধ্য হল, তাদের তৈরি প্রতিষেধকে কঠিন রোগের ঝুঁকি রয়েছে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সহযোগিতায় এই প্রতিষেধক তৈরি করেছিল অ্যাস্ট্রাজেনেকা সংস্থাটি। ভারতে সেটি উৎপাদন করেছে সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। ঘরে ঘরে মানুষ এই টিকার দু'টি এবং অনেকেই তিনটি অর্থাৎ বুস্টার ডোজও গ্রহণ করেছেন। সে ক্ষেত্রে এতদিন পর টিকা সম্পর্কিত এই ভয়ংকর তথ্য প্রকাশ্যে আসতে শিউরে উঠছেন সকলে।