অভিষেকের সভার পরেই তৃণমূল বিধায়কের উপরে হামলার অভিযোগ
এই সময় | ৩০ এপ্রিল ২০২৪
আমতার বাকসী ফুটবল মাঠে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিবার্চনী জনসভার শেষে তৃণমূল কংগ্রেস ও সিপিএম-এর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বাগনান। অভিযোগ, সোমবার রাতে সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাগনান বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি সহ শাসদকদলের বেশ কয়েকজন কর্মীকে মারধর করে। এমনকী ঘটনার সময় সেখানে বাগনানের বিধায়ক অরুণাভ সেন সেখানে গেলে, তাঁর উপরেও হামলা চালান হয় বলে অভিযোগ। বিধায়ককে বাঁচাতে গেলে তাঁর দেহরক্ষীকেও মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে সিপিএম আশ্রিত দুস্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষী বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি। পাশাপাশি বোমাবাজির অভিযোগও উঠেছে সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।এদিকে ঘটনায়, সিপিএম-এর পালটা বক্তব্য, দু'পক্ষের মধ্যে গোলমাল হয়েছে। সিপিএম-এরও অনেক ছেলেকে মারধর করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা এলাকায় ঢুকে সিপিএম-এর লোকেদের মারধর করেছে। দু'পক্ষই বাগনান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে বাগনানের খালোড় গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকায় সিপিএম ও কংগ্রেসের যৌথ প্রার্থী আজাহার মল্লিকের একটা পদযাত্রা ছিল। সন্ধ্যায় সেই পদযাত্রা শেষ হয়ে যায়। সেই সময় বাগনান কলেজ মোড়ের কাছে একটি চায়ের দোকানে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা বসে গল্প করছিলেন। অভিযোগ, তখনই খালোড় গ্রাম পঞ্চায়েতের হেতমপুর এলাকার ১৪ নম্বর সংসদের সিপিএম আশ্রিত দুস্কৃতীরা রড সহ নানা হাতিয়ার নিয়ে তাঁদের উপরে হামলা চালায়। খবর যায় বিধায়ক অরুণাভ সেনের কাছে। খবর পেয়ে তিনি দ্রুত কলেজ মোড়ে পৌঁছন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর নিরাপত্তা রক্ষী রাজকুমার মাজি। অভিযোগ বিধায়ক এলাকায় পৌঁছতেই তাঁর উপরে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। বাধা দিতে গেলে নিরাপত্তারক্ষীকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। হামলায় মাথা ফেটে যায় নিরাপত্তারক্ষীর। এরপর পালটা স্থানীয়রা তাড়া করলে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বাগনান থানার পুলিশ।
এই বিধায়ক বিধায়ক অরুণাভ সেন বলেন, 'এলাকাকে অশান্ত করতে এটা সিপিএম এবং বিজেপির যৌথ পরিকল্পনা। তৃণমূল ঠান্ডা মাথায় বিষয়টা নিয়ন্ত্রণ করেছে। পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।' বাগনান এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সইদুল মীর বলেন, 'খালোড় গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকার ১৪ নম্বর আসনটি সিপিএম-এর দখলে রয়েছে। আসনটি জেতার পর থেকেই ওরা সেখানে অন্যায় করতে শুরু করেছে, তা চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গেল। কলেজ মোড়ে গোলমাল করার পাশাপাশি এলাকায় এসে বোমাবাজি করে এবং লোকেদেরও উপর অত্যাচার করে।'
যদিও এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিপিএম। এই বিষয়ে সিপিএম নেতা সাবির উদ্দিন মোল্লা বলেন, 'সিপিএম কংগ্রেসের যৌথ মিছিলে ভয় পেয়ে গিয়েছে তৃণমূল। তার ওপর হেতমপুর এলাকাটা সিপিএমের দখলে রয়েছে। ফলে সকলকে ভয় দেখিয়ে পরিস্থিতিকে নিজের অনুকূলে আনার চেষ্টা করেছেন বিধায়ক। আর সিপিএম কংগ্রেসের যে পরিকল্পনার কথা বলা হচ্ছে সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। আমাদেরই কমপক্ষে জনা দশেক কর্মী সমর্থককে মারধর করা হয়েছে। তাঁদের বাড়ি ঘরও ভাঙচুর করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন হাসপাতালেও ভর্তি।'