• Khalilur Rahman: ভাঙন কি ভোটেও? উত্তর খুঁজছেন অজাতশত্রু খলিলুর
    এই সময় | ৩০ এপ্রিল ২০২৪
  • এই সময়: তাঁর সম্পর্কে এলাকায় জনশ্রুতি—উপকার করতে না পারলে তিনি অপকার করেন না। আর্থিক পুঁজির পাশাপাশি রাজনীতিতে এটাও তাঁর মূলধন। সেই মূলধন নিয়েই দ্বিতীয়বার ভোটে লড়তে নেমেছেন খলিলুর রহমান। গত ভোটে কংগ্রেস থেকে জোড়াফুলে এসে সহজেই জিতে গিয়েছিলেন। এই বছর লড়াই যে কঠিন, তা বোধহয় বুঝতে পেরেছেন তিনি। তাই জিততে রীতিমতো ঘাম ঝরাচ্ছেন খলিলুর।খলিলুরের রাজনৈতিক সফর আচমকা মোড় নেয় গত লোকসভা ভোটের কিছু আগে। মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের সংগঠন তখন তেমন পোক্ত ছিল না। জোড়াফুলের পতাকা প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব নিয়ে পর্যবেক্ষক হয়ে এসেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই বছর জঙ্গিপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হিসেবে কংগ্রেস খলিলুরের নাম ঠিকই করে ফেলেছিল। আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি! তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে প্রায় দেড় লক্ষ ভোটে জেতেন বিড়ি সংস্থার মালিক খলিলুর।

    খলিলুর রহমান জঙ্গিপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী

    তিনি সামশেরগঞ্জের বাসিন্দা। সেখানে ভাঙনে গ্রামের পর গ্রাম তলিয়ে গিয়েছে গঙ্গায়। তাঁর নির্বাচনী এলাকা সুতিতেও ভাঙন অন্যতম সমস্যা। তাই তাঁর ভোট ব্যাঙ্কেও ভাঙনের ইঙ্গিত। তবে দল একটা ব্যাপারে তাঁর উপর শতভাগ নিশ্চিন্ত। সেটা হলো, ইতিউতি গোষ্ঠীকোন্দল মাথাচাড়া দিলেও খলিলুরের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গেও তাঁর খুবই সখ্য। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাই তাঁকেই বাজি রেখে জঙ্গিপুর দখলে নেমেছেন। তবে তাঁর লড়াইটা শেষ মুহূর্তে একটু কঠিন হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেস জমানায় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী আব্দুস সাত্তারের নাতি মুর্তজা হোসেন বকুলকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। তিনি ভোটারদের কাছ থেকে সাড়াও পাচ্ছেন।

    শেষ মুহূর্তে সুতির বিধায়ক, তৃণমূলের ইমানি বিশ্বাসের দাদা শাহজাহান বিশ্বাস আইএসএফ-এর প্রার্থী হয়েছেন। বিড়ি সংস্থার মালিক শাহজাহান কিছুটা ভোট টানলে লড়াইয়ের চেহারাটা ঠিক কেমন হবে, তা নিয়ে নিশ্চিত হতে পারছেন না কেউ। বিজেপি প্রার্থী ধনঞ্জয় ঘোষ আবার দীর্ঘ দিনের আরএসএস কর্মী হওয়ার সুবাদে সংগঠনটা ভালোই বোঝেন। তবে খলিলুর লড়াই ছাড়ছেন না। গত পাঁচ বছরে যে সব পরিযায়ী শ্রমিকেরা ভিন্ রাজ্যে মারা গিয়েছেন, তাঁদের সকলের পরিবারের পাশে সাধ্য মতো দাঁড়িয়েছেন—এমনটাই জানাচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা। এখন ভোটারেরা তাঁর পাশে কতটা দাঁড়ান, সে সময়ই বলবে।
  • Link to this news (এই সময়)