অর্নবাংশু নিয়োগী: শিক্ষক নিয়োগের একাধিক মামলায় আইনি লড়াই করেছেন বিশিষ্ট আইনজীবী ও সিপিএম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। এনিয়ে বহু মহলের প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। আবার তৃণমূলের তরফে কখনও নাম করে কখনও আবার নাম না করে চাকরিতে জটিলতা সৃষ্টি করার জন্য তাঁকে নিশানা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার হাইকোর্টে ছিল প্রাইমাটি টেটে এর একটি মামলা। সেই মামলার শুনানির পর তিনি এজলাসের বাইরে বেরিয়ে এলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান একদল মামলাকারী। পুলিস গিয়ে ওইসব বিক্ষাভকারীদের সরিয়ে দেয়।
মঙ্গলবার প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির একটি মামলা ছিল হাইকোর্টে। সেই মামলার শুনানিতে এসিছলেন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি এজলাস থেকে বের হতেই তাঁকে ঘিরে ধরের চাকরিহারাদের একাংশ। তারা বলতে থাকেন বিকাশবাবুর জন্যই তাদের চাকরি চলে গিয়েছে। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে থেকে মন্তব্য করা হয়ে আপনি চাকরি খেয়ে নিচ্ছেন। তুমুল স্লোগান দেন তাঁরা।এদিকে, ওই ঘটনার নিন্দা করেছেন বিজেপি নেতা ও আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী মাননীয় বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য মহাশয়ের সাথে আমার রাজনৈতিক বিরোধ আছে কিন্তু তাকে আইনজীবী হিসেবে সম্মান করি। চাকরি চুরি করল এসএসসি এবং সরকার। চুরির প্রমাণ পেয়েই হাইকোর্ট চাকরি বাতিল করল। একজন আইনজীবীকে ঘিরে বিক্ষোভের কারণ কি? যারা বিক্ষোভ করলেন তারা কি শিক্ষক? কোনও যোগ্য শিক্ষক এরকম করতে পারে বলে আমার মনে হয় না। যাদের পেটে শিক্ষা আছে তারা এটা করতে পারে না। যারা এটা করলেন তারা অন্তত যাই হোক স্কুলে শিক্ষকতা করার যোগ্য নয়। মাণনীয় প্রধান বিচারপতির এনিয়ে হস্তক্ষেপ করা উচিত। এইসব দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।অন্যদিকে, তৃণমূলের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে লেখা হয়েছে, রাজনীতি করার জন্য মানুষের চাকরি খেয়ে নেওয়া এখন একটি ট্রেন্ড হয়ে গিয়েছে সিপিএম ও জমিদার বিজেপির। এখন তারা তাদের পাপের ফল ভুগছে। আজ আদালতে বিক্ষেভের মুখে পড়েন বিকাশ ভট্টাচার্য। চাকরি যাওয়ার জন্য কেন সওয়াল করেছিলেন, এরকম প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনও জবাব দিতে পারেননি।