• মঙ্গলে ৪৫ দিনের সংসার ৪ জনের! কী ভাবে সম্ভব?
    এই সময় | ৩০ এপ্রিল ২০২৪
  • চাঁদে যাওয়া নিয়ে হইহুল্লোড়ের মাঝেই মঙ্গল গ্রহে বসবাসের প্ল্যান করে ফেলেছে নাসা।

    নাসার চার নভশ্চর জেসন লি, স্টিফেনি নাভারো, শারিফ আল রোমাইথি ও পিযুমি উইজেসেকারাকে খুব তাড়াতাড়ি পাঠানো হবে মঙ্গলে। ১০ মে থেকে মঙ্গলের লাল মাটিতে থাকা শুরু করবেন তাঁরা। সেখানেই চলবে তাঁদের নাওয়া খাওয়া। পরীক্ষা নিরীক্ষা করবেন। মঙ্গলের মাটিতে হাঁটাহাঁটিও করবেন তাঁরা। ঠিক ৪৫ দিন পর তাঁদের আবার পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হবে।

    নাসার প্ল্যানে রয়েছে টুইস্ট-আসলে ব্যাপারটা ঠিক তেমন নয়। এখনই মঙ্গল গ্রহে মানুষ পাঠানোর মতো অবস্থায় নেই কোনও মহকাশ গবেষণা সংস্থাই। তবে নাসা এক অদ্ভূত চমৎকার করতে চলেছে। ঠিক মঙ্গল গ্রহের মতোই কৃত্রিম পরিবেশ তৈরি হচ্ছে হাউস্টনে নাসার জনসন স্পেশ সেন্টারে। এর নাম হিউম্যান এক্সপ্লোরেশন রিসার্চ অ্যানালগ। পৃথিবীর বুকেই তৈরি হয়েছে কৃত্রিম মঙ্গল গ্রহ। থ্রিডি প্রিন্টারে তৈরি হয়েছে মঙ্গলের পরিবেশ। সেখানেই থাকতে শুরু করবেন চার নভশ্চর।

    চার নভশ্চরের মধ্যে স্টিফেনি নাভারো সেনাবাহিনীতে ছিলেন। নাসার স্যাটেলাইট প্রোগ্রামের অংশও তিনি। শারিফ আল রোমাইথি আবু ধাবির বাসিন্দা। ১৬ বছরের উপর প্লেন চলানোর অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। পিযুমি নাসার বিজ্ঞানী। বায়ো ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উপর গবেষণা করছেন। আর জেসন লি কানেক্টিকট ইউনিভার্সিটির গবেষক। থার্মাল ফ্লুইড নিয়ে গবেষণা করছেন তিনি।

    নাসা জানিয়েছে, যে জায়গাটি তৈরি করা হয়েছে তার নাম মার্স ডিউন আলফা। ১৭০০ বর্গফুটের থ্রি-ডি প্রিন্টেড থাকার জায়গা।

    কী কী আছে এই জায়গায়?প্রত্যেকের জন্য আলাদা ঘর, রান্নাঘর। এছাড়াও ছোটোখাটো হাসপাতাল, খেলাধুলোর জায়গা, শরীর চর্চার জন্য জিম, বাথরুম সবই আছে। সেখানে ফসল ফলানোর জন্য জায়গাও আছে। এমন ব্যবস্থাও থাকছে, কখনও যদি যন্ত্র বিকল হয় বা আবহাওয়াজনিত কারণে যদি কোনও বিপদে পড়তে হয়, তাহলে সেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য তাঁদের কী কী করতে হবে।

    মঙ্গলের মাধ্যাকর্ষণ যেমন হবে, ঠিক সেই পরিস্থিতিতে হাঁটার জন্য যা যা করতে হবে, সেখানেও তেমনই পরিবেশ। পৃথিবীতে ধীরে ধীরে কমছে প্রাকৃতিক সম্পদ। বাড়ছে জনসংখ্যা। আগামী দিনে যে স্থান সংকুলানের জন্য মঙ্গল গ্রহে আস্তানা বানানোর প্রয়োজন পড়বে না এমন কথা কেউ বলতে পারেন না। আর তাই সেই দিকেই এগোচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। সেই পরীক্ষাই শুরু হচ্ছে এখন থেকে। বিজ্ঞানীরা বোঝার চেষ্টা করছেন, মঙ্গলের মতো প্রাকৃতিক পরিবেশে যেতে হলে মানুষ সেখানে কী কী প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে পারে। কেমন ধরণের বিপদ আসতে পারে এবং তা কাটানোর উপায় কী? এই পরীক্ষা সঠিকভাবে হলে ও নভশ্চররা উতরে গেলে তারপরেই মঙ্গলে মানুষ নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পন শুরু হবে।
  • Link to this news (এই সময়)