দেশের একাধিক অঞ্চল জেরবার ঠাঠাপোড়া গরমে। হিট ওয়েভের কবলে কালঘাম ছুটছে। আর এই সময় জম্মু-কাশ্মীরে ভারী বৃষ্টি। সঙ্গে নেমে গিয়েছে তাপমাত্রাও। কোথাও তাপমাত্রা ঠেকেছে পাঁচ ডিগ্রিতে কোথাও আবার মাইনাস এক ডিগ্রিতে। তিনদিন ধরে এক টানা বৃষ্টি হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরে। ঝিলম নদী সহ বাকি নদীগুলিতে জলস্তর সামান্য কমলেও বন্যার আশঙ্কা রয়েই যাচ্ছে। মঙ্গলবার রাত থেকে বৃষ্টি থেমেছে।ভারী বৃষ্টিতে শ্রীনগরে রাতের তাপমাত্রা ছিল ৫.৩ ডিগ্রি, গুলমার্গে ছিল মাইনাস ১ ডিগ্রি, বানিহালে ৭.৮ ডিগ্রি, কুপওয়ারায় ৩.৯ ডিগ্রি, অনন্তনাগরে মাইনাস ৮.২ ডিগ্রি, পহেলগাঁওতে ২.৭ ডিগ্রি। বন্ধ করে দিতে হয়েছে স্কুল। জাতীয় সড়কগুলির অবস্থারও হাল খারাপ, যাতায়াত করা যাচ্ছে না।
নজর রাখা হচ্ছে ঝিলম নদীর উপর। নদীর জলস্তর ২১ ফুটে উঠলেই সতর্ক করা হয় তা নিয়ে। আর ২৫ ফুট জলস্তর হলে বিপদসীমা। একই ভাবে পাম্পোর, রাম মুন্সি বাগ, অসম ও উল্লার নদীতেও জলের স্তর নিয়ে সরকারি আধিকারিকরা দুশ্চিন্তায় রয়েছে। মঙ্গলবার ভোরের দিকে পুলওয়ামার পাম্পোর ও শ্রীনগরের রাম মুন্সি বাগে জলস্তর ক্রমেই বাড়ছিল। এমন কী বন্যার মাত্রাও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। তবে পরে কমতে থাকে জলস্তর। মঙ্গলবার ঝিলম নদীর অবস্থাও একই ছিল। তবে বর্তমানে জলস্তর কমেছে বলে জানা গিয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, জম্মু-কাশ্মীরের সর্বত্রই ভারী বৃষ্টি হবে। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি এবং তুষারপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। তবে বুধবার থেকে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বন্যা হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে। বন্ধ রয়েছে ইউনিভার্সিটি অফ কাশ্মীরও।
দেখুন ভিডিয়ো
শুক্রাবর থেকে একটানা বৃষ্টিতে ফুলেফেঁপে উঠেছে কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলায় পোহরু নাল্লা। ন্য়াশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাহ ইতিমধ্য়েই পরিদর্শন করেছেন এলাকাগুলি। সরকারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, জম্মু-কাশ্মীরে প্রবল ভূমিধস এবং বন্যার জেরে পাঁচ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন বহু মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে শত শত বাড়ি। ইতিমধ্যেই গৃহহারা হয়েছেন কয়েকশো বাসিন্দা। ভারী বৃষ্টি এবং ধসের জেরে ইতিমধ্যেই বিপর্যস্ত ডোডা, রেসি, কিস্তওয়ার, রামবান এবং বারামুলার বিস্তীর্ণ অংশ। কিছুটা হলেও উন্নতি ঘটেছে কুপওয়াড়ায় পরিস্থিতি। জলের স্তর কিছুটা নামার পরই ঘরে ফেরা শুরু করে দিয়েছেন মানুষরা। এখনও জলের তলায় চলে গিয়েছে বহু বাড়ি। বেশকিছু বাড়িতে এখনও হাঁটু সমান জল রয়েছে। বন্যা দুর্গত এলাকায় ইতিমধ্যেই ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে।