Amit Shah : শাহের ভুয়ো ভিডিয়ো তদন্তে তলব রেবন্তকে
এই সময় | ৩০ এপ্রিল ২০২৪
এই সময়: কেউ বা কারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘এডিটেড’ ভিডিয়ো ছড়িয়েছিলেন তেলঙ্গানায়। তা নিয়ে ‘অপরিচিত ব্যক্তি’দের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে দিল্লি পুলিশ। কিন্তু সেই তদন্তে তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যের কংগ্রেস প্রধান রেবন্ত রেড্ডিকে দিল্লিতে তলব করল পুলিশ! দিল্লি পুলিশ কাল, বুধবার তাঁকে দিল্লিতে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে থাকা ইলেকট্রনিক সামগ্রীও সঙ্গে আনতে বলা হয়েছে।স্মরণাতীত কালের মধ্যে কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকা সত্ত্বেও কোনও মুখ্যমন্ত্রীকে অন্য রাজ্যের পুলিশের তলব করার ঘটনা ঘটেনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার কালবুর্গিতে এক নির্বাচনী জনসভায় রেবন্ত বলেন, ‘ইডি-সিবিআই-ইনকাম ট্যাক্সকে ব্যবহার করতে মোদীকে দেখেছি, দেখছি। এবার মোদী-শাহ দিল্লি পুলিশকেও নামিয়েছে অন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে হেনস্থা করার জন্য। ভোটে জিততে ওঁদের আর কী কী করতে হবে?’
রবিবার দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের কাছে একটি এফআইআর দায়ের করে বলা হয়, শাহকে নিয়ে ‘ভুয়ো’ এবং ‘বিকৃত’ ভিডিয়ো (এই সময় সত্যতা যাচাই করেনি) তৈরি করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে যে এসসি, এসটি এবং ওবিসি-দের জন্য যে সংরক্ষণ চালু আছে, তা আর আগামী দিনে থাকবে না বলে একটি জনসভা থেকে নাকি মন্তব্য করেছেন শাহ!
ভিডিয়োর সেই অংশটি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। অভিযোগ, ভিডিয়োটি প্রথমে তেলঙ্গানা কংগ্রেসের এক্স হ্যান্ডেল থেকে পোস্ট করা হয়। তার পর কংগ্রেসের বহু নেতা তা শেয়ার করতে থাকেন। ইতিমধ্যেই তেলঙ্গানার চার বাসিন্দাকে নোটিস দিয়ে তদন্তে সহযোগিতা করতে বলেছে দিল্লি পুলিশ। স্বাভাবিক ভাবেই বিরোধীরা এই নিয়ে শাহ তথা বিজেপিকে প্রবল আক্রমণ করে। পদ্মশিবির পাল্টা এই ভিডিয়োর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। সেই তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতেই রেবন্তকে তলব!
ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক জন কংগ্রেস নেতা-সহ মোট ৫ জনকে তলব করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এ ছাড়াও ‘ভুয়ো’ ভিডিয়ো ছড়ানোর অভিযোগে অসম থেকে একজনকে গ্রেপ্তারও করেছে দিল্লি পুলিশ।
এরই মধ্যে সংরক্ষণের সমর্থন করলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। তিনি বলেন, ‘সঙ্ঘ কখনওই সংরক্ষণের বিরোধিতা করেনি। আমরা মনে করে তত দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ দেওয়া উচিত যত দিন তা প্রয়োজন।’ তিনি এ-ও দাবি করেন, সংরক্ষণ নিয়ে আরএসএসের বিরোধিতা করে কিছু ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে আরএসএস রিজ়ার্ভেশন চায় না। এ কথা মিথ্যে।