এই সময়: এই আসনের দাবিদার ছিলেন ২৩জন প্রার্থী। আইনজীবী থেকে ব্যবসায়ী, শিক্ষক—অনেকেই ছিলেন তালিকায়। সেই তেইশের ভিড়ে ছিলেন তিনিও। প্রার্থী বাছতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত সরকারি ভাবে ঘোষণাই পিছিয়ে ছিল অনেক দিন। প্রার্থী ঘোষণা না হলেও দলের রাজ্য নেতৃত্বের জন্য জঙ্গিপুরে মাসে এক লক্ষ টাকায় পুরো একটি হোটেল ভাড়া করেছিল বিজেপি। বিজেপির উত্তর মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি ধনঞ্জয় ঘোষ জানিয়েছিলেন, এই আসন জেতার সম্ভাবনা খুবই উজ্জ্বল।ফলে প্রার্থীর সংখ্যা বেশি। তাই প্রার্থী ঘোষণায় দেরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত দেখা যায়, দল প্রার্থী করেছে ধনঞ্জয়কেই। তিনিই এখন জঙ্গিপুরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত চষে ফেলছেন। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জঙ্গিপুরে পদ্ম কি ফুটবে? ধনঞ্জয় বলছেন, ‘গত লোকসভা ভোটে বিজেপি এখানে দ্বিতীয় হয়েছিল। এই বছর প্রথম হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি।’
গত লোকসভায় কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে এসে জিতেছিলেন খলিলুর রহমান। ৬৪ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোট রয়েছে জঙ্গিপুরে। সেখানে বিজেপি প্রার্থী মাফুজা খাতুন দ্বিতীয় হন। সেই মাফুজাকেই প্রার্থী হিসেবে চেয়েছিলেন দলের নেতাদের একাংশ। বিজেপি সারা দেশে যে ৪০০ আসনকে টার্গেট করেছে, সূত্রের খবর, সেই তালিকায় রয়েছে জঙ্গিপুরও। সেই জন্য খোদ জেলা সভাপতিও প্রার্থী হতে নাম লিখিয়েছিলেন।
বিজেপি
ধনঞ্জয় দীর্ঘ দিনের আরএসএস সংগঠক। ফলে মুর্শিদাবাদ জেলায় দল চালাতে তাঁর উপরেই ভরসা রেখেছেন দলীয় নেতৃত্ব। সভাপতি হিসেবে তেমন কোনও বিতর্কও নেই তাঁকে ঘিরে। ফলে প্রার্থী হিসেবে তিনি জয়ের অন্যতম দাবিদার বলেই মনে করেছেন ধনঞ্জয়। বলছেন, ‘এই বছর জমি তৈরিই রয়েছে। মানুষ বুঝতে পারছেন, মোদীজি মানুষের জন্য যে টাকা দিল্লি থেকে পাঠাচ্ছেন, তা কাটমানি হিসেবে তৃণমূল নেতাদের পকেটে যাচ্ছে। জঙ্গিপুরের মানুষ ইভিএম-এ এর জবাব দেবেন।’
ধনঞ্জয় এই দাবি করলেও কাপ ও মুখের দূরত্ব মোটেই কম বলেও মনে করছেন না রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ, তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমানকে নিয়েও তেমন কোনও অভিযোগ নেই। কংগ্রেসও তরুণ মুর্তাজা হোসেন বকুলকে প্রার্থী করেছে। তাঁর ইমেজও ভালো। তাই কংগ্রেস আর বামেদের ভোট তাঁর বাক্সে গেলে ফল কী হবে, সেটাই এখন প্রশ্ন।