• Murtaza Hossain Bakul : ফুটবে বকুল? জোড়াফুল-ভূমে ভোটে মুর্তজাই বাজি হাতের
    এই সময় | ০১ মে ২০২৪
  • এই সময়: রাজনৈতিক আবহেই বড় হয়েছেন তিনি। তাঁর পরিবার রাজ্যের মন্ত্রী পেয়েছে, পেয়েছে বিধায়কও। রাজনীতির অলিন্দে তাঁরও ঘোরাঘুরি অনেক দিনের। তবে ছোট মাঠ থেকে এই ভোটে তাঁকে বড় মাঠে, বড় ম্যাচ খেলতে নামিয়েছে কংগ্রেস। তিনি মুর্তজা হোসেন বকুল। জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রে এই বছর তাঁকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। জঙ্গিপুর বরাবরই কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি। সেই জন্যই প্রণব মুখোপাধ্যায়কে এই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করেছিলেন অধীর চৌধুরী। অথচ গত লোকসভা ভোটে এই আসনে বিপুল ভোটে পরাজিত হয় কংগ্রেস।৫১ বছরের মুর্তজা হোসেন কংগ্রেস জমানার প্রয়াত কৃষিমন্ত্রী আব্দুস সাত্তারের ভাই সিরাজুল ইসলামের নাতি। লালগোলার দু’দফার জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্য। আব্দুস সাত্তার লালগোলা থেকে ৭ বার বিধানসভায় নির্বাচিত হন। হয়েছিলেন রাজ্যের কৃষি ও ক্ষুদ্র সেচমন্ত্রীও। ছিলেন বিরোধী দলের নেতা। তাঁর ছেলে আবু হেনা লালগোলা থেকে জিতেছেন ৬ বার। সেই পরিবার থেকেই এই বছর জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী।

    কংগ্রেস

    রাজনীতিতে হাতেখড়ি ১৯৯৮ সালে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হিসেবে। ২০০৩ ও ২০১৩ সালে জেলা পরিষদ সদস্য হন। ২০১৩-য় হন জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ কর্মাধ্যক্ষ। লালগোলার কংগ্রেস রাজনীতিতে মুর্তজা হোসেন স্বচ্ছ মুখ হিসেবেই পরিচিত। আব্দুস সাত্তারের পরিবারের ছেলে হিসেবে লালগোলা, সাগরদিঘি ও রঘুনাথগঞ্জ বিধানসভা এলাকায় ভালো প্রভাবও রয়েছে তাঁর। তবে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থী, পাঁচ বছরের সাংসদ, মিষ্টভাষী খলিলুর রহমানের ভাবমূর্তিও যথেষ্ট স্বচ্ছ। ফলে তাঁর লড়াইয়ের জমি মোটেই সহজ-সরল নয়।

    তবে তাতে কিন্তু দমছেন না বকুল। তিনি বলছেন, ‘দল আমার উপর ভরসা করেছে। সেই ভরসা রাখার জন্য সব রকমের চেষ্টা করছি। সাত্তার সাহেব যে কাজ করে গিয়েছেন, তাঁর সেই ভালো কাজের ধারা বজায় রাখার চেষ্টা করব। মুর্শিদাবাদ তথা রাজ্যে তাঁর একটা সুনাম আছে। সে কথা মাথায় রেখেই মানুষের কাছে আবেদন করছি, আমায় একটা সুযোগ দেওয়ার জন্য।’ তাঁর দাদু আব্দুস সাত্তার মুর্শিদাবাদে সবুজ বিপ্লব এনেছিলেন বলেই জনশ্রুতি। এখন প্রশ্ন, জঙ্গিপুরে কি বকুল ফুটবে?
  • Link to this news (এই সময়)