ভাইজানের সঙ্গে ভয়ংকর মাদকের ব্যবসা! হাতেনাতে ধরা পড়ে বাংলা ব্যান্ডের গায়ক জেলে...
২৪ ঘন্টা | ০১ মে ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড 'উচ্চারণ'। সেই ব্যান্ডের সংগীতশিল্পী এনামুল কবির রেবেল। জানা গিয়েছে, সংগীতশিল্পীর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে কোটি টাকার ক্রিস্টল মেথসহ (আইস)। ঢাকা পুলিস ২৬ এপ্রিল রাতে রাজধানীর রামপুরা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তবে এই মাদক কারবারে তিনি একা ছিলেন না। রেবেলের কথিত ভাইজান রিপন ওরফে লিটুও এই কারবারিতে জড়িত। তবে এই ভাইজানের বিষয়ে তেমন জানায়নি পুলিস।এনামুল কবির ‘উচ্চারণ’ ব্যান্ডের ভোকালিস্ট। রেবেল জনপ্রিয় ব্যান্ড শিল্পী পপগুরু আজম খানের দলের সদস্য ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিস। শনিবার রেবেলকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল আহম্মেদের এজলাসে পেশ করা হয়।
২৭ এপ্রিল শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির খিলগাঁও জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিস কমিশনার রাশেদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, সংগীতশিল্পী রেবেল মূলত মাদক কারবারি মহম্মদ রিপন ওরফে ভাইজানের হয়ে কাজ করতেন। শুক্রবার রেবেলকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর দেওয়া বয়ান অনুযায়ী ভাইজানের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। ভাইজানকে এখনও পাওয়া যায়নি। তবে তদন্তে তার বাড়ি থেকে মাদকসহ বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়।পুলিস কর্মকর্তা আরও বলেন, মূলত ভাইজানের মাদক কারবারে তাঁর গাড়িচালক অমি ও রেবেল সহযোগিতা কর। পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে ভাইজানের মাদক ব্যবসায় সহায়তা করে আসছিল রেবেল। একটি অনুষ্ঠানে ভাইজান লিটুর সঙ্গে পরিচয় হয় রেবেলের। সেখান থেকেই তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপরই তাঁরা মাদক ব্যবসা শুরু করে।পুলিস আরও জানিয়েছে, এই ঘটনায় আরও তিন-চারজন জড়িত। তাদের খোঁজা হচ্ছে। এর আগে মাদক বিতর্কে নাম জড়িয়েছে ওপারের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী নোবেলের। প্রাক্তন স্ত্রী সালসাবিল অভিযোগ করেছিলেন দিনে ৪ লাখের মাদকসেবন করেন নোবেল।নোবেলের স্ত্রী দাবি করেন, নোবেলের মাদকাসক্ত হওয়ার পেছনে অনেক ক্ষমতাবান মানুষের অবদান আছে। সেই স্ট্যাটাসের পরই নাকি সালসাবিলকে ‘গুমের হুমকি’ দেওয়া হয়। ‘গুমের হুমকি’ পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন— ‘ক্ষমতাধর ড্রাগ মাফিয়াদের থেকে শখানেক কল; আমি নাকি কত বড় ভুল করে ফেলেছি আমি নিজেও জানি না। আমাকে গুম করা তাদের দুই মিনিটেরও বিষয় নয়। কোনো আইন তাদের কিছু করতে পারবে না। আইন তারা পকেটে রাখে’।