রায়পুর: নিরাপত্তরক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হলেন কমপক্ষে ১১ জন মাওবাদী, তাঁদের মধ্যে দু’জন মহিলাও আছেন। মঙ্গলবার বস্তারের নারায়ণপুর জেলায় এই ঘটনা ঘটেছে। এ দিনের অভিযানে বিপুল সংখ্যক অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। একটি একে ৪৭-ও উদ্ধার হয়েছে ঘটনাস্থল থেকে।এ দিন সকাল ৬টা থেকে ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডের জয়েন্ট সিকিউরিটি টিম ও মাওবাদীদের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়। নারায়ণপুরের আবুজমার ও কাঁকের সীমানা এলাকায় জঙ্গলে মাওবাদীদের আস্তানার খবর পায় নিরাপত্তারক্ষীরা। সেই মতোই চলে অভিযান।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাঁই জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার আলোচনার মাধ্যমে মাওবাদী সমস্যা সমাধানে আগ্রহী।
মুখ্যমন্ত্রী এ-ও বলেন, ‘যদি মাওবাদীরা সরকারের সঙ্গে ভিডিয়ো বার্তায় কথা বলতে চায়, আমরা তার ব্যবস্থা করব। পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে প্রস্তুত আছি। আমরা চাই তাঁরা মূলস্রোতে ফিরে আসুন।’ ছত্তিসগড়ের উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মা বলেন, সোমবার শেষ রাতে ছত্তিসগড়ের নারায়ণপুর এবং কাঙ্কের জেলার সীমান্তের একটি জঙ্গলে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে তিন মহিলা-সহ ন’জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে। পরে আরও দু’টি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মাওবাদীদের বিস্তারিত পরিচয় এখনও জানা যায়নি। শর্মা আরও জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি একে ৪৭ রাইফেল, অন্যান্য অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তিনি এই অভিযানটিকে একটি বড় সাফল্য বলে উল্লেখ করেছেন। শর্মা সাফল্যের জন্য যৌথ বাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোর থেকে তেকমেটা জঙ্গলে ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) এর একটি যৌথ দল মাওবাদী-দমন অভিযানে নামে। সেখানেই এই সাফল্য মেলে।
পুলিশ জানিয়েছে, নারায়ণপুর এবং কাঙ্কের সহ সাতটি জেলা নিয়ে রাজ্যের বস্তার জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে আলাদা আলাদা সংঘর্ষে এই বছর এ পর্যন্ত ৮৮ জন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। গত ১৬ এপ্রিল নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে ২৯ জন মাওবাদী নিহত হয়। এই ঘটনার ঠিক ১৫ দিন পরে ফের বড়সড় সাফল্য এল বাহিনীর ঝুলিতে।