'সরি পাপা...' মৃত্যুপুরী কোটায় পরশুর পর আজ ফের চরম পথে NEET পড়ুয়া
২৪ ঘন্টা | ০১ মে ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আরও একবার শিরোনামে রাজস্থানের কোটা। ফের এক পড়ুয়ার আত্মহত্যার খবর সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, NEET-এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ওই পড়ুয়া। এমনকি ওই পড়ুয়া পরীক্ষা ক্র্যাক করার জন্য তিন বার প্রচেষ্টা চালাচ্ছিলেন। কিন্তু আর চাপ নিতে পারছিলেন না। শেষমেষ যুদ্ধে হার মেনে চরম সিদ্ধান্ত নিলেন ওই পড়ুয়া।আত্মঘাতী ছাত্রের নাম ভরত কুমার রাজপুত। রাজস্থানের বাসিন্দা ওই পড়ুয়া। ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার তাঁকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। গত ৪৮ ঘণ্টায় এই নিয়ে কোটায় দ্বিতীয় রহস্যজনক আত্মহত্যার ঘটনা। জানা গিয়েছে, ভরত এর আগে দুবার NEET পরীক্ষার চেষ্টা করেছিলেন। ৫ মে তৃতীয়বার এই পরীক্ষা দেবার কথা ছিল।
ভরত কোটায় রাজীব গান্ধী নগর এলাকায় পেয়িং গেস্ট হিসাবে থাকতেন। গত ১ বছর ধরে তিনি মেডিক্যাল এন্ট্রাস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। পুলিস জানিয়েছে, ভরতের সঙ্গে রোহিত নামের এক আত্মীয়ও একই রুমে থাকতেন। এবং সেও নিট পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ রোহিত কিছুক্ষণের জন্য বাইরে যান। ফিরে আসার পর ভরতের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন। জওহর নগরের সাব ইন্সপেক্টর গোপাল সিং সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছেন, সকাল ১১.১৫ নাগাদ রোহিত ফিরে আসেন। তখন তিনি দেখতে পান ঘরটি ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। তাই তিনি জানলা দিয়ে উঁকি মাকেন। তখন তিনি দেখতে পান ভরত গলায় বিছানার চাদর জড়িয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে। পুলিস ওই রুম থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে। যাতে লেখা ছিল, 'সরি পাপা, আমি এই বছরও এটা করতে পারলাম না।' পুলিসের মতে, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হয়েছে যে তাঁর তৃতীয় প্রচেষ্টায় দুর্বল পারফরম্যান্সের চাপ ভরতকে কঠিন পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছে। ইতোমধ্যেই মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য এমবিএস হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।দুদিন আগে রবিবার, কোটা থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল NEET পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত দেহ। মৃত পড়ুয়ার নাম সুমিত পাঞ্চাল। ২০ বছর বয়সী ওই পড়ুয়া হরিয়ানার বাসিন্দা। সুমিতকেও তাঁর হস্টেলের ঘরে সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্ত থেকে সুমিতের মৃত্যুর ঘটনাকে আত্মহত্য়া বলেই অনুমান করা হয়েছে। তবে ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি।