তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি অব্যাহত, আজও ৮ জেলায় লাল সতর্কতা, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কত?
এই সময় | ০১ মে ২০২৪
তীব দহনের বিরাম নেই। ইতিমধ্যেই বিগত ৭০ বছরের মধ্যে রেকর্ড তৈরি করেছে এবারের গরম। আজও শহর কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলির একই পরিস্থিতি। সকাল থেকে রোদের তাপ জ্বারা ধরাচ্ছে শরীরে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে আজও কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে বিভিন্ন জেলায় থাকছে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি।দক্ষিণের আবহাওয়াআলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে আজ দক্ষিণবঙ্গের বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমানের কিছু কিছু জায়গায় লাল সতর্কতা বজায় থাকছে। এছাড়াও অন্যান্য জেলার বেশকয়েকটি জায়গায় জারি থাকছে কমলা সতর্কতা। আগামীকাল লাল সতর্কতা জারি থাকছে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দুই বর্ধমানের বেশকিছু জায়গায়। পাশাপাশি অন্যান্য জেলার কিছু কিছু স্থানে থাকছে কমলা সতর্কতা। আগামী পরশু ও তার পরেরদিন, অর্থাৎ ৩ এবং ৪ তারিখ কমলা সতর্কতা থাকছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, দুই মেদিনীপুর এবং দুই বর্ধমানে কিছু জায়গায় কমলা সতর্কতা জারি রাখছে হাওয়া অফিস। অন্যান্য জেলাগুলির কোনও কোনও জায়গায় জারি থাকছে হলুদ সতর্কতাও।
কলকাতার আবহাওয়ার খবরগতকাল মঙ্গলবারই শহর কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, আজও কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৭.৪ ডিগ্রি বেশি। পাশাপাশি দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাবাবিকের চেয়ে ৩.৫ ডিগ্রি বেশি। সেক্ষেত্রে তাপমাত্রা আরও বাড়বে কি না, তা নিয়েও আশঙ্কা তৈররি হয়েছে।
উত্তরবঙ্গের আবহাওয়াদক্ষিণের মতো উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলাতেও রয়েছে তীব্র গরমের দাপট। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী আজ উত্তরবঙ্গের মালদা ও দক্ষিণ দিনাজপুরের কিছু অংশে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি থাকতে পারে। জারি থাকছে কমলা সতর্কতা।
আবহাওয়া দফতরের পরামর্শগরম থেকে বাঁচতে ও সুস্থ থাকতে বেশকিছু পরামর্শও দিচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। সেক্ষেত্রে সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৪টের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ সূর্যের আলোয় থাকা বা বাইরের কাজ এড়িয়ে চলার পরমর্শ দেওয়া হচ্ছে। সঙ্গে হালকা ওজনের, হালকা রঙের, ঢিলেঢালা, সুতির কাপড় পরতে বলা হচ্ছে। একেইসঙ্গে মাথা ঢেকে রাখতে কাপড়, টুপি বা ছাতা ব্যবহার করতেও বলা হচ্ছে। পাশাপাশি দেহের জলশূন্যতা এড়াতে তৃষ্ণার্ত না হলেও করতে হবে পর্যাপ্ত জলপান। এক্ষেত্রে ওআরএস, ঘরে তৈরি পানীয় যেমন লস্যি, লেবুর জল, বাটারমিল্ক ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে। হিট স্ট্রোক, হিট র্যাশ বা হিট ক্র্যাম্পের লক্ষণ খেয়াল রাখতে হবে। মাথা ঘোরা, মাথা ব্যাথা, বমি বমি ভাব, ঘাম, খিঁচুনি, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া বা অসুস্থ বোধ করলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে হবে।