কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নিউ ইয়র্ক পুলিশ, ক্যাম্পাসে তুলকালাম! গ্রেফতার এক ডজন পড়ুয়া
এই সময় | ০১ মে ২০২৪
নির্ধারিত সময়সীমা শেষ এবার বিক্ষোভকারী ছাত্রছাত্রীদের ঠেকাতে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছল নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশের বিশাল বাহিনী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব ছাত্রছাত্রী ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিক্ষোভ করছে এবং বেঁধে দেওয়া সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরও ক্যাম্পাসে নির্মিত তাঁবু সরানোর বিষয়ে রাজি হননি তাঁদেরকে বহিষ্কার করা শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।কলেজ কর্তৃপক্ষ আগেই সতর্ক করেছিল যে সোমবার দুপুর দুটোর মধ্যে তাঁবু ছেড়ে না গেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার মাঝে পড়তে হবে বলে জানানো হয়েছিল বিক্ষোভকারীদের। কিন্তু কর্তৃপক্ষের দেওয়া সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও কয়েক ডজন ছাত্রছাত্রী ওখানে সমবেশ করে। এদিকে টেক্সাসের অস্টিনে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাসে চলমান আরেকটি বিক্ষোভ থেকে বেশকয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিবৃতিতে বলেছে যে বিক্ষোভকারীদের থাকার জায়গাগুলোতে বেসবল আকারের পাথর পাওয়া গেছে। অধিকাংশ বিক্ষোভকারী বিশ্ববিদ্যায়লয়ের বাইরের বলে মনে করা হচ্ছে।
বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কাজ করছেন আইনজীবী জর্জ লব। তিনি স্থানীয় গণমাধ্যম কেইউটি নিউজকে বলেছেন যে অস্টিন ক্যাম্পাসে সোমবার প্রায় ৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
চলতি মাসে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকটি ক্যাম্প উচ্ছেদ করার পর থেকে পুরো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে একই ধরণের বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে নিউ ইয়র্কের উত্তরে অবস্থিত এই অভিজাত আইভি লিগ বিশ্ববিদ্যালয়, কলম্বিয়ার কর্তৃপক্ষের উপর পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কিংবা সরে দাঁড়ানোর চাপ বাড়ছে।
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার মাইক জনসন সামাজিক যোগাযোগ মধ্যম এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘কলম্বিয়ায় যা ঘটছে তা সম্পূর্ণ অপমানজনক। ক্যাম্পাসটিতে এখন ইহুদীবিদ্বেষী ছাত্র ও শিক্ষক ছড়িয়ে পড়েছে।’
অন্যদিকে, মেয়র এরিক অ্যাডামস ঘোষণা করার কয়েকঘণ্টা পরে কর্তৃপক্ষ হস্তক্ষেপ করে জানায় যে এখনই শেষ হওয়া উচিত। এরপরই নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশের বিশাল বাহিনী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢোকে। এই পদক্ষেপ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করা হয়। বিক্ষোভকারীরা হিন্দের হল নামে একটি ভবন দখল করেছিল। বিক্ষোভকরীদের সরাতে ব্যারিকেড স্থাপন করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষোভকারীরা “লজ্জা! লজ্জা! “ বলে স্লোগান দিতে থাকে।
প্রসঙ্গত, গাজায় চলমান সামরিক কর্মকাণ্ডের প্রতিক্রিয়া হিসেবে শুরু হওয়া বিক্ষোভ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। যা অন্যান্য অসংখ্য বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রভাবিত করে। দু সপ্তাহ আগে ১৮ এপ্রিল ক্যাম্পাসের কেন্দ্রে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে নির্মিত একটি ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে ১০০ জনেরও বেশি ছাত্রকে গ্রেফতার করেছিলো পুলিশ। এই ঘটনার পর বিক্ষোভকারীরা আরও দ্বিগুণ উদ্যমে নতুন করে তাঁবু খাটাতে শুরু করে।