এই সময়: লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোট মিটে গিয়েছে গত শুক্রবার। তার চার দিন বাদে প্রথম দু’দফায় ভোটদানের চূড়ান্ত পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এই তথ্য সামনে আসতেই কমিশনের তালিকা তুলে ধরে সরব হয়েছে কংগ্রেস, সিপিএম, তৃণমূলের মতো বিরোধী দলগুলি। তাদের প্রশ্ন—কেন এত দেরিতে কমিশন এই তালিকা প্রকাশ করল?কেনই বা শুধুমাত্র ভোট শতাংশ আপলোড করেছে ইসি? কেন ভোটদানের সম্পূর্ণ পরিসংখ্যান তারা তুলে ধরল না? কেনই বা ইসি ভোটদান শেষের পরে যে তালিকা দিয়েছিল, সেই তুলনায় নতুন লিস্টে ভোটদানের হার প্রায় ছ’শতাংশ বেড়ে গেল? এর মধ্যে কোনও গরমিল আছে কি না, তা নিয়েও একসুরে সরব হয়েছে বিরোধী শিবির।
নির্বাচন কমিশনের চূড়ান্ত ভোটদানের তালিকা প্রকাশের পরে তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন এক্স প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, ‘ইমপরট্যান্ট! দ্বিতীয় দফার ভোটপর্ব শেষ হওয়ার চারদিন পরে নির্বাচন কমিশন ফাইনাল ভোটিং ফিগার প্রকাশ করেছে। চারদিন আগে কমিশন যা দিয়েছিল, তার থেকে ৫.৭৫ শতাংশ বড় লাফ দিয়েছে এই পরিসংখ্যান।’ এরপরেই তাঁর প্রশ্ন, ‘এটা কি স্বাভাবিক? আমি এখানে কী মিস করে যাচ্ছি?’
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের মতে, নির্বাচন সংক্রান্ত তথ্য নির্দিষ্ট সময়ে এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকাশ করা কমিশনের আবশ্যিক কাজের মধ্যে পড়ে এবং পুরো ফিগার সমেত এটা সাধারণ মানুষের সামনে আনা উচিত। রমেশের কথায়, ‘এটা প্রথম হলো যখন প্রথম দফার ভোটের ১১দিন এবং দ্বিতীয় দফার চারদিন বাদে কত মানুষ ভোট দিয়েছেন, সেই খতিয়ান কমিশন প্রকাশ করল। অতীতে কমিশন এই চূড়ান্ত তালিকা ভোটদান শেষ হওয়ার অব্যবহিত পরেই অথবা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশ করত।’
এক্স প্ল্যাটফর্মে রমেশের প্রশ্ন, ‘শুধুমাত্র কিছু আনুমানিক পরিসংখ্যান কমিশনের ওয়েবসাইটে তুলে ধরা হয়েছে। এতটা দেরি হলো কেন?’ সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির পোস্ট—‘অবশেষে প্রথম দু’দফার ভোট মিটে যাওয়ার পরে কমিশন ভোটার টার্ন আউটের যে তালিকা দিয়েছে, সেই পরিসংখ্যান প্রাথমিক অঙ্কের তুলনায় বেশ খানিকটা বেশি।’ তাঁর প্রশ্ন, ‘কেন প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রের ভোটারদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য দেওয়া হলো না? যতক্ষণ না পুরো তথ্য দেওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ এই ভোট শতাংশ মূল্যহীন।’