• বিয়েবাড়ির মেনুতে একের বেশি পদ থাকলে কঠোর শাস্তি! কেন এমন আজব নিয়ম পাকিস্তানে?
    এই সময় | ০১ মে ২০২৪
  • পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ মঙ্গলবার বিয়ের অনুষ্ঠানে 'ওয়ান ডিশ' নিয়ম কঠোরভাবে প্রয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছেন। নিম্ন আয়ের পরিবারের আর্থিক বোঝা কমাতে এটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সিএম মরিয়মের সভাপতিত্বে প্রাদেশিক মন্ত্রিসভার অধিবেশনে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।একটি আন্তর্জাতিক মিডিয়া হাউসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঞ্জাব প্রদেশে বহু বছর ধরে এই নিয়ম চালু রয়েছে। এই আইন আনা হয়েছিল নাগরিকদের মধ্যে সম্পদের প্রদর্শন কমাতে এবং আর্থিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ব্যয়বহুল বিবাহের ভোজের বাধ্যবাধকতা দূর করার জন্য।

    প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষ কখনও কখনও এমন নাগরিকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় যারা স্থানীয় এবং বিদেশী মুদ্রা ছড়িয়ে দিয়ে নিয়ম লঙ্ঘন করে। সেই সাথে অতিথিদের জন্য ব্যয়বহুল খাবার পরিবেশন করে।

    প্রতিবেদন অনুসারে, ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ সংকটের মধ্যে শক্তি বাঁচাতে ফেডারাল মন্ত্রিসভা ২০২২ সালে ইসলামাবাদে রাত ১০ টার পরে বিয়ের অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

    পাকিস্তান অর্থনৈতিক মন্দায় আটকে আছে

    পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে এক বিশাল অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। দেশের অবনতিশীল অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা শেহবাজ শরীফ সরকারের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। শরীফ আবারও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছ থেকে সাহায্যের আশা করছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার সঙ্গে দেখা করেন।

    শরীফ জর্জিয়েভার সাথে তার দেশের নগদ অর্থ সংকটে পড়া অর্থনীতিকে ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনতে একটি নতুন ঋণ কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করেছেন। রিয়াধে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বৈঠক চলাকালীন এই বৈঠক হয়।

    প্রসঙ্গত, গত বছরের জুন মাসে পাকিস্তান তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের আইএমএফ প্রোগ্রাম পেয়েছিল।

    উল্লেখ্য, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। মানুষের দুবেলা খাবার পাওয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে। খাদ্যদ্রব্য সহ নিত্যদিনের জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া হতে শুরু করেছে। ফলে সেখানকার মানুষের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে উঠেছে। এখানে মুদ্রাস্ফীতির হার ৪০ শতাংশের উপরে। ফলে চরম খারাপ অবস্থা সাধারণ মানুষের।

    বলাই বাহুল্য, পাকিস্তানের আর্থিক সমস্যা কমার কোনও লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। দেশের ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি রেকর্ড ভাঙছে প্রতিনিয়ত। সেই সঙ্গে বাড়ছে দশের জনসংখ্যাো। শিল্প খাতে দুর্বল অবস্থার কারণে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার কমেছে অনেকটাই।

    এই সবকিছু মিলিয়েই দরিদ্র মানুষের বোঝা কমাতেই বিয়েতে ওয়ান ডিশ নিয়মকে কার্যকর করতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে পাঞ্জাব সরকার।
  • Link to this news (এই সময়)