প্রবল তাপপ্রবাহের মধ্যেই প্রথম দু’দফায় সারা দেশের ১৯০ টি লোকসভা কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ পর্ব শেষ। কিন্তু বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানের একাধিক লোকসভা কেন্দ্রের পরিসংখ্যান বলছে গরমের মধ্যে ভোটদানে মানুষের অনীহা দেখা দিয়েছে। ব্যতিক্রম নয়,পশ্চিমবঙ্গও। দার্জিলিঙে হিমেল হাওয়া থাকলেও গত বছরের তুলনায় ৫.৪৩ শতাংশ কম ভোট পড়েছে সেখানে।কেন এই অনীহা, তার উত্তর খুঁজতেই নির্বাচন কমিশন বুধবার রাজ্যগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল। কমিশন চায় গণতন্ত্রের উৎসবে বেশি করে মানুষ অংশগ্রহণ করে ভোট দিক। এমনকী, প্রার্থী পছন্দের না হলে ‘নোটা’য় ভোট দিক। এই কারণে কমিশনের তরফে সিস্টেমেটিক ভোটারস এডুকেশন অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এতেও অবশ্য ভোট দানের হার বাড়ানো যাচ্ছে না।
দেখা গিয়েছে, বিহারে আটটি আসনে ভোট পড়েছে মাত্র ৫৫ শতাংশ। মধ্যপ্রদেশে গতবারের তুলনায় ৮ শতাংশ কম ভোট পড়েছে। উত্তরপ্রদেশের মতো বিজেপিশাসিত রাজ্যে মথুরা ও আলিগড় লোকসভা কেন্দ্রে ভোট পড়েছে মাত্র ৪৭.৪৫ শতাংশ। মহারাষ্ট্রের ৮টি আসনে ভোট পড়েছে মাত্র ৫৫ শতাংশ। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে ভোটদানের হার ৮২.১৭ শতাংশ। গত লোকসভা নির্বাচনে সেখানে ভোট পড়েছিল ৮৪.২৫ শতাংশ। প্রথম দফার ভোটে তিন কেন্দ্র কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে গড় ভোট পড়েছে ৮১.৯১ শতাংশ। ২০১৯ সালে এই তিন কেন্দ্রের গড় ভোট পড়েছিল ৮৪.৫৪ শতাংশ।
এসবের মধ্যে ত্রিপুরায় অবশ্য সারা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে। কেন? আধিকারিকদের একাংশ মনে করছেন, রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতা না থাকাটা এখানে বেশি ভোট পড়ার অন্যতম কারণ।
নির্বাচন কমিশনের এদিনের বৈঠকে ভোট দানের হার বাড়াতে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের পথ খুঁজতে বলা হয়েছে। বিহারে তাপ প্রবাহের কারণে ভোট দানের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। প্রথম দু’দফায় বিকেল চারটে পর্যন্ত সেখানে ভোট গ্রহণ হয়েছিল। তৃতীয় দফা থেকে এই সময়সীমা বাড়িয়ে সন্ধ্যা ছ’টা পর্যন্ত করতে বলা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে তাপপ্রবাহের জন্য বুথে এয়ার কুলার বসাতে বলা হয়েছে। ভোটাররা যাতে বেশি সংখ্যায় ভোট দিতে আসেন সেজন্য উপযুক্ত প্রচারের ওপরে গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি বুথে তাঁদের জন্য উপযুক্ত স্বাচ্ছন্দের ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে।