• বাগনানে আক্রান্ত বিধায়ক ঘটনায় গ্রেফতার ৫, তোলা হল আদালতে
    ২৪ ঘন্টা | ০১ মে ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গন্ডগোল থামাতে গিয়ে আক্রান্ত বাগনান তৃণমূল বিধায়ক। বিধায়ককে বাঁচাতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের রডের আঘাতে মাথা ফাটে বিধায়কের দেহরক্ষীর। আঘাত  লাগে চোখেও। মাথায় তিনটি সেলাই নিয়ে গুরুতর অবস্থায় বেসরকারি নার্সিংহোমে ICU তে ভর্তি দেহরক্ষী। ঘটনায় আহত ১১ জন। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি পুলিসের। এলাকায় টহল। ঘটনাটি ঘটেছে রাতে বাগনান থানার কলেজ মোড়ে। এই ঘটনায় গ্রেফতার ৫। আজ উলুবেড়িয়া আদালতে তোলা হবে।

    জানা যায়, ওই দিন বাগনান থানার বাকসিতে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সভা সেরে বাগনান বিধায়ক অরুনাভ সেনের বাড়ির ঢিল ছড়া দূরত্বে কলেজ মোড়ে একটি চায়ের দোকানে তৃণমূল কংগ্রেসের কয়েকজন সমর্থক চা খাচ্ছিলেন এবং আড্ডা দিচ্ছিলেন অভিযোগ সেই সময় বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী। বিধায়কের দাবি, এরা প্রত্যেকেই সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতি। তারা রড লাঠি, লোহার চেন প্রভৃতি নিয়ে আক্রমণ চালায় তাদের উপর। ঘটনা বাগনান বিধায়কের বাড়ির ৩০০-৪০০মিটার দূরে ঘটায় বিধায়কের কাছে খবর পৌঁছে যায় খুব দ্রুত।এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে খবর পেয়েই বিধায়ক অরুনাভ সেন এবং তার দেহরক্ষী রাজকুমার মাঝি ডিউটিরত অবস্থায় ঘটনাস্থল কলেজ মোড়ে পৌঁছয়। পোঁছন মাত্রই বিধায়ককে ঘিরে ধরে দুষ্কৃতীরা বাস-লাঠি নিয়ে চড়াও হয় বিধায়কের উপর। সেই সময় বিধায়ককে বাঁচাতে গেলে তার দেহরক্ষী রাজকুমার মাঝিকেই দুষ্কৃতীরা রড বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করে দুষ্কৃতীদের রডের আঘাতে দেহরক্ষীর মাথা ফেটে যায়। দুষ্কৃতীদের মারে দেহরক্ষী  চোখেও আঘাত লাগে গুরুতর। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় তৃণমূলের আরও লোকজন।প্রতিরোধের মুখে পড়ে  দুষ্কৃতীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস। দুষ্কৃতীদের খোঁজে রাতেই চলছে পুলিসের তল্লাশি। ঘটনায় আহত হয় ১১ জন এদের কারও হাত ভেঙেছে, কারও মাথায় চোট, কারও শরীরে চোট ,কারও পায়ে আঘাত প্রত্যেকটি বাগনান হাসপাতালে চিকিৎসা জন্য পাঠানো হয়। বিধায়ক অরুণাভ সেনের দেহরক্ষী রাজকুমার মাঝিকে বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তার মাথায় তিনটি সেলাই দেন পাশাপাশি স্ক্যান করানো হয় মাথার চোখেও মারাত্মক চোট পান তিনি।দেহরক্ষীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে তিনি একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধিন। বাগনান থানায় অভিযোগ দায়ের। ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে বাগনান থানার পুলিস। রাতেই চলে পুলিসি টহল দুষ্কৃতীদের খোঁজে চলে অভিযান। বিধায়ক জানান, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবেই এই হামলা। গত বিধানসভা নির্বাচনে খালোড় পঞ্চায়েতের হেতম পুরের একটি সিট সিপিএম জয় লাভ করার পরেই এলাকায় সন্ত্রাসের আবহাওয়া তৈরি করে রেখেছে তারা।একসময় এই কলেজ মোড়েই ১৯৮২ সালে তৎকালীন সময়ে যুব কংগ্রেস নেতা তার পিতা মানস সেনকে খুন করেছিল সিপিএম হার্মাদরা। এবারে ঠিক ওই জায়গাতেই ওরকমই একটা আরও বড় কিছু ঘোটে যেতে পারত। প্রতিরোধের মুখে পড়ে এখান থেকে ফিরে যাওয়ার সময় এলাকায় গিয়ে ও বোমাবাজি করে ওই দুষ্কৃতীরা। অন্যদিকে, সিপিএম নেতা সাবিরউদ্দিন মোল্লা জানান, আমাদের সিপিএমের কেউ জড়িত নয়। উল্টে তৃণমূলের লোকজন আমাদের সমর্থকদের মারধর করে আমাদের কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি আছে।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)