আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তান নেওয়ার অনুমতি চেয়েছিলেন বয়স্ক দম্পতি, গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল হাইকোর্ট
২৪ ঘন্টা | ০১ মে ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: যে সময়ে সম্ভবত আর সন্তান ধারনের ক্ষমতা থাকে না সেই সময়েই ১৯ বছরের সন্তানকে হারিয়েছিল বাংলার এক দম্পতি। স্বামীর বয়স ৫৯। স্ত্রী ৪৬। এরকম এক সময়ে বিশেষ চিকিত্সা পদ্ধতিকে সন্তান চাইলে স্বামীর বয়স হতে হবে ৫৫। এরকমই আইন। এরকম এক পরিস্থিতিতে আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তান নেওয়ার কথা কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেন ওই দম্পতি। শেষপর্যন্ত ওই দম্পতিকে আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তান ধারনের অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের বক্তব্যয হল স্বামী ৫৫ বছর পার করে গেলেও স্ত্রী এখনও ৪৬। তা তাদের ছাড় দেওয়া হল।
আদালতের মন্তব্য হল, ইনভাট্রো ফার্টিলাইজেশনে স্বামীর থেকে স্ত্রীর ভূমিকাই বেশি। তাই এক্ষেত্রে স্বামীর বয়স খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। ওই দম্পতি সন্তান নিতে পারেন। এটি একটি ব্যতিক্রমী কেস।২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে ওই দম্পতির ১৯ বছরের সন্তান আত্মঘাতী হয়। তার পরই সন্তান নেওয়ার জন্য এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করেন ওই দম্পতি। চিকিত্সকরা পরীক্ষা করে দেখেন ওই দম্পতি সন্তান ধারন করতে পারবেন। তবে তা একমাত্র আইভিএফ পদ্ধতিতেই। কিন্তু সমস্যা হয় স্বামীর বয়স নিয়ে। তখনই তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই মামলায় গত ২৬ এপ্রিল রায় দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। বলা হয় স্বামীর বয়স ৫৯ হলেও স্ত্রীর বয়স ৪৬। তাই ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে হিসেবে ওই দম্পতিকে আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তান ধারণের অনমতি দেওয়া হল।