ভোটে কারচুপির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে নকল আঙুল? তাও আবার বাংলাতে? সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই দাবি ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু, তা সত্যি নয়। এই দাবি আদতে বিভ্রান্তিকর।কী ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়?
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। যেখানে অনেকগুলি প্রসথেটিক আঙুল দেখা যাচ্ছে। ওই নকল আঙুলের উপরে লেখা, 'ভোটে কারচুপির জন্য নকল আঙুল।' পাশাপাশি ক্যাপশানে লেখা, 'ডুপ্লিকেট ভোটারদের নকল আঙুল দেওয়ার জন্য তৈরি যাতে তাদের আসল আঙুল ঢাকা পড়ে যায়। পশ্চিমবঙ্গে তা বিতরণ হচ্ছে। সিস্টেমটাকে খারাপ করার জন্য আর কতদূর ওরা যেতে পারে?'
সত্যিটা কী? তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
এই ভাইরাল পোস্টটির সত্যতা যাচাই করে ‘দ্য কুইন্ট’। সেখানে জানা যায়, ২০১৩ সাল থেকে এই ছবিটির অস্তিত্ব রয়েছে এবং লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। জাপানের একটি প্রাক্তন গ্যাং মেম্বারদের জন্য এই প্রসথেটিক ফিঙ্গার তৈরি করা হয়েছে। পেশাগাত কারণে তাদের আঙুল চলে গিয়েছিল। আর সেই জন্য তাঁদের কথা মাথায় রেখে এই আঙুলগুলি তৈরি করা হয়।
এই পোস্ট সত্য নয়
এই সম্পর্কিত ABC নিউজের একটি প্রতিবেদন সামনে আসে। সেখানে এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়। সেখানে গ্যাংস্টাররা আঙুল কেটে দিত শাস্তি হিসেবে। আর সেই কারণে বিকল্প হিসেবে প্রসথেটিক আঙুল ব্যবহারের ঝোঁক বাড়ে। সেই প্রসঙ্গেই এই ছবিগুলির বিষয়টি সামনে আসে।
এই প্রতিবেদনের কি ওয়ার্ডগুলি ব্যবহার করে একটি ভিডিয়োর পাওয়া যায় এএফপির। সেখানে এই প্রসঙ্গে আরও বিস্তারিত তথ্য সামনে আসে। পাশাপাশি এই ছবিটিকে সামনে রেখে অতীতেও এই ধরনের ভুয়ো দাবি উঠেছিল। তা পুরনো বেশ কিছু তথ্য ঘাঁটলেই স্পষ্ট হয়ে যায়। অর্থাৎ বিদেশের একটি ঘটনার উপর ভিত্তি করে এই নকল আঙুলের প্রসঙ্গ সামনে এসেছে। এর সঙ্গে আদতে কোনও যোগাযোগ নেই বাংলার বা দেশের লোকসভা নির্বাচনের।
উপসংহার
এই তথ্যগুলির উপর ভিত্তি করে এটা স্পষ্ট যে আঙুলের ছবিটি এখনকার নয়। তা অতীতের। ভোটের সময় তা ভুল দাবি করে সামনে রাখা হচ্ছে। এই ছবিগুলির মধ্যে আদৌ কোনও সত্যতা নেই। সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য ভুল দাবি দিয়ে তা শেয়ার করা হয়েছে।
(This article was originally published by FACTLY and later edited and translated by Ei Samay Digital)