• নুন চিনির জল-এসির হাওয়া, গরমে ডগ স্কোয়াডের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা কলকাতা পুলিশের
    এই সময় | ০১ মে ২০২৪
  • অসহ্য গরমে 'পুড়ছে' শহর কলকাতা সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গ। সর্বত্রই নাজেহাল অবস্থা। কিন্তু তার মাঝেই নিত্যদিনের যাবতীয় কাজ করে যেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। আর শুধু মানুষ নয়, সারমেয়দের করতে পালন করতে হচ্ছে তাদের নিজস্ব দায়িত্ব। ব্যাপারটি বুঝলেন না? তাহলে আরও একটু খোলসা করেই বলা যাক।পুলিশের তদন্তের কাজে প্রায়শই প্রয়োজন হয় সারমেয়র। নিয়মিত দেখভাল করা হয় সারমেয়গুলির। সেগুলির খাওয়াদাওয়া থেকে স্বাস্থ্য, নজরে রাখা হয় সমস্ত বিষয়। কিন্তু গরমে পারদ যেখানে ছুঁয়েছে তাতে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি হাঁসফাঁস করছে পশুপাখিরাও। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের ডগ স্কোয়াডের সারমেয়গুলির বিশেষ খেয়াল রাখছে কলকাতা পুলিশ। আর সেই সংক্রান্ত একটি ভিডিয়োও পোস্ট করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ১ মিনিট ৩ সেকেন্ডের ওই ভিডিয়োতে বেশকিছু সারমেয়কে একটি জলাশয়ে সাঁতার কাটতে দেখা যাচ্ছে। ভিডিয়োর একটি অংশে একটি ঘোড়াকেও জলে ভাসতে দেখা যাচ্ছে।

    কী বলছে কলকাতা পুলিশ?ভিডিয়োর সঙ্গে যে টেক্সটি পোস্ট করা হয়েছে, 'তাতে লেখা, গলদঘর্ম ওরাও, দারুণ অগ্নিবাণে বিদ্ধ ওরাও, অগ্নিসম এই তাপপ্রবাহে হাঁসফাঁস অবস্থা, প্রবল শারীরিক অস্বস্তিতে কাহিল। কিন্তু মুখের ভাষায় প্রকাশ করতে পারে না, সুতরাং বুঝে নেওয়ার দায়িত্ব সম্পূর্ণ আমাদের। এই তীব্র দাবদাহে শুধু দুপেয়ে নয়, চারপেয়ে সহকর্মীদের সুস্থ রাখারও সবরকম প্রয়াস করছি আমরা।'

    কী কী ব্যবস্থা?সারমেয়দের সুস্থ রাখতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তাও বিস্তারিতভাবে ওই ভিডিয়োর টেক্সেটে জানান হয়েছে। সেই টেক্সেটে লেখা দুবেলা স্নান, ভিজে তোয়ালে দিয়ে গা মোছা, সাঁতার - এসব তো আছেই, তাতেও না কুলোলে আছে বরফজলে স্নানের ব্যবস্থা। ও হ্যাঁ, আমাদের ডগ স্কোয়াড-এর ক্ষেত্রে নুন-চিনির জলও বাধ্যতামূলক। তবে পাখা, কুলার, এসি-র সাহায্যে সাধ্যমত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে রাখার চেষ্টা করলেও ওরা জানে যে কর্তব্যে গাফিলতি চলে না,পরিস্থিতি যতই দুঃসহ হোক না কেন। অতএব দিনের অনেকটাই কাটে ঘরের বাইরে, প্রখর রৌদ্রে জ্বলেপুড়ে।'

    পোস্টে আরও লেখা হয়েছে, 'মানুষের মতোই ওদের সকলের গরম সহ্য করবার ক্ষমতা সমান নয়, সুতরাং যাদের কষ্ট বেশি হয়, অসহনীয় গরমে হাঁফ ধরে, ক্ষিদে চলে যায়, তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হয়। ভিডিয়োটি দেখলেই বুঝবেন, কেউ কেউ পুকুরে সাঁতার না কাটা পর্যন্ত শান্তি পায় না!'
  • Link to this news (এই সময়)