• 'প্রধানমন্ত্রীকে ভোট দিন!' বিয়ের কার্ডে নরেন্দ্র মোদীর প্রচার করে বিপাকে বর-কনে
    এই সময় | ০১ মে ২০২৪
  • রীতি মেনেই ছাপিয়েছেন বিয়ের কার্ড। আর সেই কার্ডেই দেখা গেল বিশে, আবেদন। তবে এই আবেদন আর পাঁচটা আবেদনের মতো নয়, একটু হলেও আলাদা। কথাটা শুনে হয়তো মনে হচ্ছে এ আর এমনকি বিষয়। বিয়ের কার্ডে নতুনত্ব এখন ট্রেন্ড। কেউ কেউ আবার আজকাল বিয়ের কার্ডে উপহার না আনার বিশেষ অনুরোধ জানিয়ে বার্তা দেন কার্ডে।তবে এমন বিয়ের কার্ড কোনও দিনও কেউ দেখেছেন কিনা তা মনে করতে পারছেন না নিমন্ত্রিতরা। কারণ উপহারের পরিবর্তে এমন একটি অনুরোধ করা হয়েছে যা দেখে চমকে যাওয়ার জোগাড় সকলে। ইতিমধ্যেই সেই নিমন্ত্রণ পত্রের কারণে মামলা দায়ের করা হয়েছে ওই বর-কনের নামে।

    কর্ণাটকের এক যুবক নিজের বিয়ের কার্ডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়ে পড়েছেন ঘোর বিপাকে। লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন এমন আবেদনে উল্টে বিপাকে পড়েছেন বর এবং কনে। ইতিমধ্যে বর ও কনের বিরুদ্ধে উপ্পিনগরী থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

    বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু ছিল বিয়ের আমন্ত্রণপত্রের ট্যাগলাইন। তাত লেখা ছিল, ‘আপনি দম্পতিকে যে সেরা উপহার দেবেন তা হল মোদিকে আবারও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করা।’

    বিয়ের কার্ডে মোদীর প্রচর

    সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এই কার্ড এখন ভাইরাল। বিয়ের কার্ডকে যেন দলের প্রচারের মাধ্যাম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, বিরোধীরা সেই প্রশ্নই তুলেছেন। যা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। পাশাপাশি বিয়ের আমন্ত্রন পত্রে বর-কনে সাফ লিখেছেন, এবারেও নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী করার জন্য বর ও কনের তরফ থেকে উপহার। কারণ আমাদের ভবিষ্যতের ভারত নিরাপদ হোক। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেই ভোট দিন।

    পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বরের এক আত্মীয় এই ট্যাগলাইন নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।

    সেই আবেদনের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা ১৪ এপ্রিল পুত্তুর তালুকে বরের বাড়িতে গিয়েছিলেন।

    বর ব্যাখ্যা করেছেন যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগে আমন্ত্রণপত্রগুলি মার্চ মাসে ছাপা হয়েছিল। তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেছেন যে ট্যাগলাইনটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা এবং জাতীর উদ্বেগ প্রকাশ করে। বিয়ে হয়েছিল ১৮ এপ্রিল।

    তবে বরের এতোকিছু ব্যাখ্যাতেও কোনও কাজ হয়নি। নির্বাচন কমিশন উপ্পিনানগাডি পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করে এবং এরপর একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছিল।

    এছাড়া আমন্ত্রণপত্র ছাপানোর দায়িত্বে থাকা প্রেস মালিকও নির্বাচন কমিশন এবং পুলিশের নজরদারিতে আছেন।
  • Link to this news (এই সময়)