• পতঞ্জলির কেসে সুপ্রিম কোর্টের তীব্র তোপে IMA
    এই সময় | ০১ মে ২০২৪
  • নয়াদিল্লি: মঙ্গলবার ছিল পতঞ্জলির বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা বিজ্ঞাপন নিয়ে মামলা। এ দিন বিচারপতি হিমা কোহলি ও বিচারপতি এহসানউদ্দিন আমানুল্লার বেঞ্চ সংবাদপত্রে বিরাট করে বিজ্ঞাপন দিয়ে পতঞ্জলির ‘ক্ষমাপ্রার্থনা’য় কিছুটা সন্তোষ প্রকাশ করে বলে, ‘অনেকটা উন্নতি হয়েছে। ওই বিজ্ঞাপনে বাবা রামদেবের নাম আছে, যা আগেই থাকা উচিত ছিল। এই বিজ্ঞাপনে আমরা সন্তুষ্ট।’তবে, এ দিন উত্তরাখণ্ড সরকার ও ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান ভি অশোকাননে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছে। অশোকানকে বিচারপতিরা বলেন, ‘আপনি আপনার বক্তব্যের জন্য ফল ভুগতে প্রস্তুত হোন।’

    কেন অশোকানের উপরে ক্ষুব্ধ বিচারপতিরা? তিনি সম্প্রতি পিটিআই-কে একটা সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘এটা দুর্ভাগ্যজনক যে সুপ্রিম কোর্ট অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য করছে... আমাদের দিকে আঙুল তুলছে। অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসকদের ডি-মরালাইজ়ড করার চেষ্টা করছে... এত চিকিৎসকেরও মৃত্যু হয়েছে করোনার সময়ে। আমি মনে করি আমরা দারুণ কাজ করেছি।’

    এই বক্তব্যই এ দিন পতঞ্জলির হয়ে সওয়ালকারী বিশিষ্ট আইনজীবী মুকুল রোহাতগি বেঞ্চের সামনে তুলে ধরেন। তিনি দাবি করেন, এই বক্তব্যকে অন-রেকর্ড নেওয়া হোক। বিচারপতিরা তাঁর সঙ্গে সহমত পোষণ করে তা গ্রহণ করেন। তখনই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিচারপতি কোহলি। তিনি বলেন, ‘আমরা কী নিয়ে মন্তব্য করব, কোনটা মামলা আর কোনটা মামলা নয়... সেই সিদ্ধান্ত আমাদের। তা ছাড়া নিজেকে সার্টিফিকেট দিয়ে কোনও লাভ হয় না। যে কথা আপনি সাক্ষাৎকারে বলেছেন বলে অন্য পক্ষ দাবি করেছে, তা ঠিক হলে সেই জবাবদিহি আপনাকে করতেই হবে যে আমরা কী করব বা করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন।’

    বিচারপতি আমানুল্লাহ বলেন, ‘এত দিন আমরা যে বিষয়টি (পতঞ্জলির ভুয়ো বিজ্ঞাপন) নিয়ে শুনছি, আইএমএ প্রেসিডেন্টের মন্তব্য তার থেকেও ভয়ঙ্কর। এই মামলা তারাই করেছে, ফলে এই ধরনের মন্তব্য করার জন্য ভয়ানক ফল অপেক্ষা করে আছে।’ এর পাশাপাশি, মঙ্গলবার পতঞ্জলি মামলায় উত্তরাখণ্ড লাইসেন্সিং বিভাগের ‘নিষ্ক্রিয়তা’র জন্য ভর্ৎসনা করেছে দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য, কর্তৃপক্ষ ‘সব কিছু মুছে ফেলার চেষ্টা’ করছেন! সোমবারই সুপ্রিম কোর্টে পতঞ্জলির ‘বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা বিজ্ঞাপন’

    মামলায় হলফনামা জমা দিয়েছিল লাইসেন্সিং বিভাগ। সেখানে বলা হয়েছে, গত ১৫ এপ্রিল রাজ্যের লাইসেন্সিং বিভাগ পতঞ্জলির ১৪টি পণ্য উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। এ ছাড়াও একটি নোটিস জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, পতঞ্জলির কোনও বিজ্ঞাপন প্রকাশ করলে শাস্তির মুখে পড়তে হবে। এ কথাই উত্তরাখণ্ড সরকারের আইনজীবী বেঞ্চকে বলেন। সঙ্গে এ-ও দাবি করেন, এর আগে যিনি লাইসেন্স দপ্তরের অফিসার ছিলেন, সে সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। এতে আরও রেগে যায় বেঞ্চ।

    তাঁরা বলেন, ‘জানেন না মানে? এটা তো আদালত অবমাননা... আমরা তো পুরো সময়ের রিপোর্ট তলব করেছিলাম।’ তখন রাজ্য সরকারের আইনজীবী পাল্টা বলতে গেলে বিচারপতিরা বলেন, ‘আপনারা যদি মনে করেন কোনও কাজ করবেন, তা হলে তা বিদ্যুৎ-গতিতে করতে পারেন। কিন্তু...।’ পরবর্তী শুনানি দু’দিন পরে।
  • Link to this news (এই সময়)