Covishield Side Effects : কোভিশিল্ডে ক্ষতিপূরণের দাবিতে মামলা সুপ্রিম কোর্টে, সাইড এফেক্ট নিয়ে মুখ খুললেন ICMR-এর বিজ্ঞানী
এই সময় | ০১ মে ২০২৪
কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের সাইড এফেক্ট নিয়ে হইচইয়ের মাঝে এবার মামলা গড়াল সুপ্রিম কোর্টে। বুধবার দেশের শীর্ষ আদালতে এই মর্মে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর্জি জানানো হয়েছে, আদালতের অবসরপ্রাপ্ত বরিষ্ঠ আইনজীবীর তত্ত্বাবধানে AIIMS-এর ডিরেক্টরের নেতৃত্বে মেডিক্যাল এক্সপার্টদের নিয়ে একটি প্যানেল গঠন করার।ক্ষতিপূরণের দাবিতে মামলাব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে তৈরি কোভিশিল্ড করোনা ভ্যাকসিন ভারতে উৎপাদন করে সেরাম ইনস্টিটিউট। থ্রম্বসিস বা থ্রম্বসাইটোপেনিয়া সিনড্রোমের ঝুঁকি ভারতীয় টিকাপ্রাপকদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক তৈরি করেছে। তা নিয়েই আইনজীবী বিশাল তিওয়ারি তাঁর দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করেছেন, কেন্দ্র সরকার যেন ভ্যাকসিন ড্যামেজ পেমেন্ট সিস্টেম তৈরি করে। মামলায় আরও বলা হয়েছে, যদি এই টিকা নেওয়ার পর কারও মৃত্যু হয়ে থাকে অথবা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নষ্ট হয়ে থাকে তবে সরকার যেন আর্থিক সাহায্য দেয়।
সাইড এফেক্ট নিয়ে মুখ খুলল ICMRকোভিশিল্ড নিয়ে জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কতটা? এ প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন ICMR-এর বিজ্ঞানী ডা. রমন গঙ্গাখেদকর। তিনি বলেন, 'ভয়ের কোনও কারণ নেই। ১০ লাখ মানুষের মধ্যে কেবলমাত্র সাত থেকে আটজন কোভিশিল্ড প্রাপকে থ্রম্বসিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। প্রথম ডোজ নেওয়ার পর এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে দ্বিতীয় ডোজে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে সেই ঝুঁকি কমতে থাকে। তৃতীয় বা বুস্টার ডোজের পর এই ঝুঁকি থাকে না বললেই চলে। যদি সাইড এফেক্ট হওয়ার থাকেই তবে তা দু'তিন মাসেই হবে।'
ICMR-এর এই বিজ্ঞানী করনা পর্বে দেশে ভ্যাকসিন চালু হওয়ার সময় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, 'টিকাকরণ শুরু হওয়ার ছয় মাসের মধ্যেই থ্রম্বসিস বা থ্রম্বসাইটোপেনিয়া সিনড্রোমের ঝুঁকি চিহ্নিত হয়েছিল। ফলে এই কোভিশিল্ড টিকা নিয়ে এই তথ্য নতুন কিছু নয়। এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা টিকাপ্রাপকদের ১০ লাখের মধ্যে মাত্র সাত থেকে আটজনের। ফলে টিকার ইতিবাচক সুবিধাগুলিই আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো উচিত। লাখ লাখ মানুষ এই ভ্যাকসিন নিয়ে করোনার হাত থেকে রেহাই পেয়েছেন। বহাল তবিয়তে জীবিত রয়েছেন। রিস্ক এবং বেনেফিট অ্যানালিসিস করেই টিকাদান করা হয়েছিল।'
আতঙ্কের মাঝে ফের একবার মুখ খুলেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকাও। তারা আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছেন, 'কোভিশিল্ড নিরাপদ।'