Congress Party : কংগ্রেস ছেড়ে পদ্মে নেতারা, মধ্যপ্রদেশের আবার দল ত্যাগ
এই সময় | ০২ মে ২০২৪
এই সময়: লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার আগে থেকেই কংগ্রেসের নিচু স্তরের কর্মীদের কেউ কেউ বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। গত ১৬ মার্চ নির্বাচনী নির্ঘণ্ট হওয়ার পর দু’একদিন অন্তরই দেখা যাচ্ছে কংগ্রেস ছেড়ে বেশ কিছু স্থানীয় নেতা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন ও দিচ্ছেন। সুরাট-ইন্দোরের পর মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কংগ্রেসের ছ’বারের বিধায়ক রামনিবাস রাওয়াত যোগ দিলেন পদ্ম শিবিরে, তাও যে দিন রাহুল গান্ধী সেখানে প্রচারে গেছেন! মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব, বিজেপির রাজ্য সভাপতি ভিডি শর্মা এবং রাজ্যের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্রের উপস্থিতিতে শেওপুরে একটি বিশাল সমাবেশে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন।সোমবারই ইন্দোরের কংগ্রেস প্রার্থী অক্ষয় কান্তি বাম নিজের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় লেখেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা, মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব, এবং রাজ্য সভাপতি ভি ডি শর্মার নেতৃত্বে ইন্দোরের কংগ্রেসের প্রার্থী অক্ষয় কান্তি বামকে বিজেপিতে স্বাগত।’
স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্বের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে অক্ষয় সম্পর্কে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল এই প্রার্থী যখন তখন নিজের মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে পারেন। দশ দিন আগে, প্রাক্তন বিধায়ক হরিবল্লভ শুক্লা তাঁর সমর্থক এবং অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দিতে ভোপালে গিয়েছিলেন। এর দিন দশেক আগেই গুনা-শিবপুরীর প্রাক্তন বিধায়ক হরিবল্লভ শুক্লা তাঁর সমর্থক এবং অন্য নেতাদের সঙ্গে ভোপালে গিয়ে শাসকদলে যোগ দেন। তিনি বহু দশক ধরে কংগ্রেসে ছিলেন।
গুজরাটের পোড়খাওয়া কংগ্রেস নেতা অর্জুন মধওয়াদিয়াও সম্প্রতি কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে যে দিন কংগ্রেস যোগ দিতে চায়নি সেদিনই তিনি সরব হয়েছিলেন। রাম শুধু হিন্দুদের পূজনীয় নন, তিনি ভারতের আস্থা। মন্দির-প্রতিষ্ঠায় না যাওয়ার অর্থ, দেশের মানুষের আবেগকে আঘাত করা। কংগ্রেস দেশের মানুষের আবেগকে বুঝতে চায় না। এর পরেই তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করছেন, বিজেপি বিধানসভা নির্বাচনে দারুণ ফল করেছে মধ্যপ্রদেশে। লোকসভাতেও তাদের কেউ আটকাতে পারবে না বলে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী পদ্মশিবির। ফলে অনেকেই আর ‘ডুবন্ত নৌকো’ কংগ্রেসে থাকতে চাইছেন না। তাঁরা মনে করছেন, শতাব্দী প্রাচীন দলের সঙ্গে থাকা অর্থহীন। তা ছাড়া, বিজেপিও বহু ক্ষেত্রে ‘চাপ’ দিয়ে তাঁদের দলে টানছে বলেও শোনা যাচ্ছে।