আন্দোলনকারী চাকরি প্রার্থীর উপরে হামলা, গলায় ধারাল অস্ত্রের কোপ
এই সময় | ০২ মে ২০২৪
রাতের অন্ধকারে বাড়ির সামনে প্রাইমারি চাকরি প্রার্থীর উপরে দুষ্কৃতীর হামলা। ধারাল অস্ত্র দিয়ে গলার কাছে আঘাত করার অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।জানা গিয়েছে, সোনারপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পূর্ব শীতলা এলাকার বাসিন্দা দেবাশিষ বিশ্বাস। দীর্ঘদিন ধরে প্রাইমারিতে চাকরির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ২০০৯ সালের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের আহ্বায়ক তিনি। রাত্রি ১০টা-১১টা নাগাদ বাড়ির সামনেই রাস্তায় গুগুল মিটে অন্যান্য আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মিটিং করছিলেন। অভিযোগ সেই সময়ই কেউ বা কারা হামলা চালায় তাঁর উপরে। কোনরকমে নিজেকে রক্ষা করেন দেবাশিস। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সোনারপুর থানার পুলিশ। ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকাজুড়ে। আতঙ্ক অন্যান্য চাকরি প্রার্থীদের মধ্যেও।
ঠিক কী ঘটেছ?এই বিষয়ে দেবাশিস জানাচ্ছেন, তিনি আগামী ১০ তারিখে তাঁদের মামলার শুনানি রয়েছে। সেই কারণে রাত্রি ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে ফোনে কনফারেন্সে ছিলেন তিনি। সেই সময়ই আচমকা তাঁর উরে হামলা চালান হয়। তিনি যা হোক করে নিজেকে সেখান থেকে রক্ষা করেন। দেখেন রক্তে গলা ভেসে যাচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বাড়ির লোকেরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং দেখেন গলার অংশটা কাটা রয়েছে। ইতিমধ্যেই সেখান থেকে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতী। পরে পুলিশ একজনকে পাকড়াও করে।
আতঙ্কে আক্রান্তের পরিবারগোটা ঘটনায় হতচকিত দেবাশিস ও তাঁর পরিবার। দেবাশিসের প্রশ্ন তাঁরা মামলা করেছেন বলেই কি তাঁদের উপরে হামল? যদিও ঠিক কী কারণে এই হামলা সেই বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে আটক ব্যক্তিকেও জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই তোলপাড় গোটা রাজ্যে। সম্প্রতি এসএসসি মামলার রায় ঘোষণা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেখানে ২০১৬ সালের গোটাল প্যানেলটাই বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে চাকরি হারিয়েছেন ২৫ হাজার ৭৫৩ জন। সেই রায়ের প্রেক্ষিতে পালটা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার, এসএসসি ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ইতিমধ্যেই মামলার শুনানিও হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। যদিও হাইকোর্টের চাকরি বাতিলের রায়ের উপরে এখনও কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি শীর্ষ আদালত।