১ কেজি ময়দা ৮০০ টাকা, বিয়েতে ১ পদের বেশি খাওয়ালেই এবার দুয়ারে পুলিস...
২৪ ঘন্টা | ০২ মে ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিপুল অর্থ সংকটে পাকিস্তান। সেখানে বিয়ে এবং বাকি অনুষ্ঠানে পরিবেশিত খাবারের উপর বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। দেশ ইতোমধ্যেই খাদ্য সংকট এবং মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে লড়াই করছে। তাই পাক সরকার বিশেষত বিয়ে এবং অন্যান্য আচার অনুষ্ঠানের সময় খাদ্যের অপচয় রোধ করার উপায়গুলি দেখছে। তারা পঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ 'ওয়ান ডিশ' নীতি কঠোরভাবে প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।যদিও এই নীতিটি ২০১৬ সালে প্রথম প্রয়োগ করা হয়েছিল কিন্তু জনগণ তা অনুসরণ করছে না। বর্তমানে, সরকার পুরো দৃঢ়তার সঙ্গে নীতি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুধু তাই নয়, নীতি অনুসরণ হচ্ছে কি না তা পরীক্ষা করার জন্য প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিয়ের অনুষ্ঠান, অন্যান্য ফাংশনে অভিযান চালাবেন। 'ওয়ান ডিশ' নীতি অনুযায়ী, বিয়ের পার্টিতে একাধিক খাবারের অনুমতি নেই। এর অর্থ হল, খাবারের মেনুতে শুধুমাত্র একটি সবজি, ভাত, রুটি, ডাল, স্যালাড, কোল্ড ড্রিংক এবং একটি মিষ্টি পরিবেশন করার অনুমতি রয়েছে।
সিএম নওয়াজ বলেছেন যে একাধিক খাবার রান্না করা অবাঞ্ছিত ব্যয়ের দিকে পরিচালিত করে। সরকারি কর্মকর্তারা দলগুলির ওপর অভিযান চালাচ্ছেন এবং যারা আইন মানবেন না তাদের উপর জরিমানা আরোপ করা হবে। পাকিস্তানে বর্তমানে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে বেলআউট প্যাকেজ নিয়ে পড়ে আছে। সম্প্রতি, পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ আর্থিক সাহায্য চাইতে সৌদি আরব গিয়েছিলেন কিন্তু তাঁর সেই প্রকল্প সফল হয়নি। পাকিস্তানে মূল্যস্ফীতি এতটাই বেশি যে সাধারণ খাদ্য সামগ্রীও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, ১ কেজি গমের আটার দাম এখন পাকিস্তানে ৮০০ টাকা। সেখানে একটি রুটির দাম ২৫ টাকা, পাকিস্তানি মুদ্রায়। এমনকি ফলের দাম আকাশ ছোঁয়া। কলা বিক্রি হচ্ছে ১৫০-২০০ টাকায়।অন্য়দিকে বিদ্যুৎ বাঁচাতে কড়া পদক্ষেপ বাংলাদেশের পুরসভার। 'রাত ৮টার পর শপিং মল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান-সহ দোকানপাট খোলা রাখলে বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হবে', জানিয়ে দিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।এপ্রিল গোড়া থেকে তীব্র দাবদাহ চলছে ওপার বাংলাতেও। আমজনতার ভোগান্তি আরও বাড়িয়েছে লোডশেডিং। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অফ বাংলাদেশ জানিয়েছে, সোমবার সারাদেশে বিদ্য়ুৎ চাহিদা ছিল ১৬ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। আর জোগান? ১২ হাজার ৭৫৩ মেগাওয়াট। ঘাটতি মেটাতে গত কয়েক দিনে লোডশেডিং করতে হয়েছে দুই হাজার মেগাওয়াটের বেশি! এই পরিস্থিতিতে গ্রাহকদের বিদ্য়ুৎ ব্য়বহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে PGCB।