'মুখস্থে কিছু হবে না', কী ভাবে মাধ্যমিকে প্রথম? সাফল্য রহস্য ফাঁস কোচবিহারের চন্দ্রচূড়ের
এই সময় | ০২ মে ২০২৪
ঘড়ির কাঁটায় ৯টা। দুরুদুরু বুকে টিভির সামনে বসেছিলেন মেধাবী। সঙ্গী বাবা। অবশেষে ঘোষণা, প্রথম হয়েছেন কোচবিহারের রামভোলা হাইস্কুল চন্দ্রচূড় সেন। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩। আনন্দে আত্মহারা মেধাবী। প্রিয়জনদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরে খুশি তিনি।সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, 'সায়েন্স নিয়ে পড়তে চাই। আগামীদিনে আমি চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করতে চাই। সবে মাধ্যমিক, এখনও অনেক পথ চলা বাকি।' যাঁরা মাধ্যমিক দিচ্ছেন তাঁদের উদ্দেশে টপার বলেন, 'শুধু মুখস্ত করলে হবে না। জানার কৌতুহল বাড়াতে হবে। সহায়িকার সাহায্য নিয়েছিলাম। রিভাইজ করতে হবে।' এক থেকে দশের মধ্যে থাকার আশা করলেও প্রথম হওয়ার আশা করেননি এই মেধাবী। তিনি বলেন, ' নিজের স্কুল শিক্ষকদের ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন তিনি। পড়াশোনার পাশাপাশি আবৃত্তি করতে পছন্দ করেন তিনি। পড়ার জন্য বাঁধাধরা কোনও সময় ছিল না বলেই জানান তিনি। ইচ্ছে করলেই পড়াশোনা করতেন। আলাদা করে কোনও টাইম টেবিল ছিল না।'
এই মেধাবী ছাত্র জানান, স্কুলের শিক্ষকরা পাশে থেকেছেন বরাবর। পাশাপাশি প্রাইভেট টিউশনও নিয়েছিলেন তিনি। তবে সবসময় বই মুখে বসে থাকলে সাফল্য আসবে, এই ধারণায় তিনি বিশ্বাসী নন। পরিবারের সকলেই তাঁর ইচ্ছের প্রাধান্য দিয়েছে এবং আগামীতে তাঁর চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্নের পাশে দাঁড়াতে চাইছে গোটা পরিবার।
বাবার পাশে বসেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন তিনি। আবেগঘন বাবাও। ছেলের সাফল্যে অত্যন্ত খুশি বলে জানান তিনি। ছেলের চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্নকে লালন পালন করতে চান তিনি। এদিকে, এইবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় দ্বিতীয় হয়েছেন সাম্যপ্রিয় গুরুম। তিনি পুরুলিয়া জেলা স্কুলের ছাত্র। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬৯২। তৃতীয় হয়েছেন বালুরঘাট হাই স্কুলের উদয়ন প্রসাদ , পুষ্পিতা বাশুরি, নৈরিত রঞ্জন পাল।
এদিন সকাল ৯টা ৪৫ মিনিট থেকে অনলাইনে ফলাফল জানা যাবে। এর জন্য রোল নম্বর এবং ডেট অফ বার্থ বা জন্ম তারিখের প্রয়োজন রয়েছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে দুটি ওয়েব সাইট চালু রাখা হয়েছে। এগুলো হল www.wbbse.wb.gov.in ও wbresults.nic.in। এই বার মাধ্যমিক পাশ করেছেন ৭ লাখ ৬৫ হাজার ২৫২ জন। পাশের হার ৮৬.৩১ শতাংশ। পাশের হারে তিন নম্বর স্থানে রয়েছে কলকাতা। পাশের হারে প্রথম স্থান ধরে রাখতে পারল না পূর্ব মেদিনীপুর। এবারে পাশের হারে প্রথম কালিম্পং।