Seetha Amman Temple: শ্রীলঙ্কায় দেবী সীতার মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা, অযোধ্য়া থেকে যাবে সরযূর জল, কবে অনুষ্ঠান?
এই সময় | ০২ মে ২০২৪
চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি রাজসূয় যজ্ঞে অভিষেক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে উদ্বোধন হয়েছে অযোধ্য়ার রাম মন্দিরের। এবার পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে শ্রীলঙ্কায়। দেবী সীতার মূর্তির প্রাণপ্রতিষ্ঠা করা হবে সেখানে। অযোধ্য়ার সরযূ নদীর জল শ্রীলঙ্কায় সীতা মন্দিরের অভিষেক অনুষ্ঠানের জন্য পাঠানো হবে। শ্রীলঙ্কায় নির্মিত হয়েছে সীতা মন্দির।কবে প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান?
রাম মন্দির ট্রাস্ট ও অযোধ্য়া জেলা প্রশাসন সীতা আম্মান মন্দির নির্মাণের পিছনের যাঁরা রয়েছেন তাঁদের অনুরোধে পবিত্র জল সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ১৯ মে অনুষ্ঠিত হবে এই অনুষ্ঠান। শ্রীলঙ্কার সীতা মাতার মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের জন্য পবিত্র সরযূ নদীর জল যাতে পাঠানো হয় তার জন্য অযোধ্যার কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে উত্তর প্রদেশ সরকার।
সরযূর জল যাবে শ্রীলঙ্কায়
পবিত্র জল সংগ্রহ করতে মন্দির প্রশাসনের একটি প্রতিনিধি দল ১৫ মে পরে ভারতে আসবে। প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি অফিসের তরফে সরযূ নদী থেকে ২১ লিটার জল সরবরাহের দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়েছে শ্রী অযোধ্যা জি তীর্থ বিকাশ পরিষদকে। সীতা আম্মান মন্দিরে মা জানকীর নতুন মূর্তির অভিষেক অনুষ্ঠান হবে খুব জাঁকজমকপূর্ণ।
সীতা মাতার মন্দির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমাসিংহে এবং প্রধানমন্ত্রী দীনেশ গুনাবর্ধনে। ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন আধ্যাত্মিক গুরু শ্রী শ্রী রবিশংকর। সীতা আম্মান মন্দির শ্রীলঙ্কার নুওয়ারা এলিয়ার পাহাড়ে অবস্থিত। পৌরাণিক কাহিনিতে এই স্থান উল্লেখযোগ্য। বাল্মীকির রামায়ণে রাবণ সীতেক অপহরণ করে অশোক বনে বন্দি করে রেখেছিলেন। মনে করা হয়, সেই বন এলাকা অবস্থিত নুওয়ারা এলিয়ায়। এখানে সেই বন অশোক বটিকা এবং সীতার মন্দির সীতা আম্মান মন্দির নামে পরিচিত। সীতা আম্মান মন্দিরের পিছনের পাথরে হনুমানের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া যায় বলে মনে করা হয়। মন্দিরের পাশ দিয়ে একটি নদী বয়ে গিয়েছে। জনশ্রুতি, এখানে সীতা স্নান করতেন। পাহাড়ে নাকি হনুমানের পদচিহ্ন রয়েছে।
সীতা কোটুয়া নামেও একটি জায়গা রয়েছে শ্রীলঙ্কায়। বলা হয়, এটি নাকি রাবণের প্রধান রানি মন্দোদরির প্রাসাদে অবস্থিত। সুন্দর নদী আর জলপ্রপাত দিয়ে ঘেরা এই জায়গাতেই নাকি রাবণ। সীতাকে বন্দি করে রেখেছিলেন। অনেকে সীতা ফোর্টও বলেন একে। কোথেমালে বলে একটি জায়গায় দেখা যায় 'সীতা গোলি'। শোনা যায়, রাবণ সীতাকে অপহরণ করে নিয়ে আসার সময় সীতা গোলি (সম্ভবত চাল দিয়ে তৈরি লাড্ডু) খাবার হিসেবে দিয়েছিল। জানকী তা না খেয়ে ফেলতে গিয়েছিলেন যাতে রামচন্দ্র তাঁর সন্ধান পান।