Health Insurance: স্বাস্থ্য বিমা না থাকলে হাসপাতালে বাড়তি খরচ! দিতে হতে পারে ১০% বেশি টাকা
এই সময় | ০২ মে ২০২৪
আপনার কি স্বাস্থ্য বিমা করানো নেই? স্বাস্থ্য বিমা না করিয়ে ভেবেছেন যদি প্রয়োজন হয় তবে হাসপাতালের যা বিল হবে তা নিজের সঞ্চিত অর্থ দিয়েই মিটিয়ে দেবেন? কিংবা ভেবেছেন স্বাস্থ্য বিমার টাকা পেতে দেরি হওয়ার কারণে নিজের পকেট থেকেই বিল মেটাবেন? তবে কিন্তু আপনাকে বিলের থেকে বেশি অর্থ মেটাতে হতে পারে। সম্প্রতি গুরগাঁওয়ের এক রোগীর থেকে বিলের বেশি অর্থ নেওয়া হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে। অনুসন্ধানে দেখা যায় এমন ঘটনা প্রথম নয়, প্রায় অভ্য়াসের পর্যায়ে পরিণত হয় বিষয়টি।টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্যক্তি হাসপাতালে বিল মেটানোর সময় বিমা অনুমোদনের অপেক্ষা না করে সিদ্ধান্ত নেন নিজের পকেট থেকে বিল মেটাবেন। কারণ বিমা অনুমোদন প্রক্রিয়া দেরি হচ্ছিল। টাকা দেওয়ার সময় ব্যক্তি লক্ষ্য করেন তাঁর থেকে বিলের থেকে প্রায় ২৭ শতাংশ বাড়তি অর্থ নেওয়া হয়েছে । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে জানায়, যাঁরা হাসপাতালের বিল নিজেরা প্রদান করবেন তাঁদের বেশি অর্থ প্রদানের বিষয়টি হাসপাতালের পলিসি। শারীরিক দিক থেকে এমনিতেই দুর্বল ছিলেন ওই ব্যক্তি। বিলের চেয়ে বাড়তি অর্থ নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষকে চ্য়ালেঞ্জ করতে পারেননি ব্যক্তি। এক প্রকার বাধ্য হয়েই বাড়তি অর্থ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে মেটাতে হয় তাঁকে। অভিযোগ, অসুস্থতার সুযোগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ব্যক্তিকে বিলের থেকে বাড়তি অর্থ প্রদানে বাধ্য করে।
৫৩ বছরের ওই ব্যক্তি গুরগাঁওয়ের এক নামকরা হাসপাতালে ভর্তি হন ১৪ এপ্রিল। খাবারে বিষক্রিয়ার জেরে জ্বর, গুরুতর ডিহাইড্রেশন এবং ডায়রিয়ার সমস্য়া নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। একটি টুইন-শেয়ারিং রুমের (যে ঘরে দু'জন রোগী ভর্তি থাকে) জন্য প্রতি রাতে তাঁর কাছ থেকে ৮৪০০ টাকা চার্জ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। টাকার এই অঙ্ক গুরগাঁওয়ের একটি উচ্চমানের হোটেলের প্রতি দিনের হিসেবে ঘর ভাড়ার সমান। রোগীর কাছ থেকে রুম ভাড়া ছাড়াও নার্সিং পরিষেবা, লিনেন এবং লন্ড্রি, ভর্তি চার্জ এবং বায়ো-মেডিকেল বর্জ্য নিষ্পত্তির জন্য আলাদাভাবে চার্জ করা হয়েছিল।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার কথা বলার সময় ব্য়ক্তি জানিয়েছেন, 'হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমার বিমা কোম্পানিকে জানাতে দেরি করে। অথছ আমি ভর্তির সময়ই বিমার নম্বর, আধার কার্ড সহ সব তথ্য জমা করেছিলাম। তবে কর্তৃপক্ষ অনুমোদন প্রক্রিয়া দেরি করে। ১৬ এপ্রিল চিকিৎসক আমায় জানিয়েছিলেন যে পরের দিন আমায় ছেড়ে দেওয়া হবে। ১৬ এপ্রিল রাত ৮টা ৭ মিনিটে আমি বিমা কোম্পানির থেকে একটি মেসেজ পাই। ওই মেসেজে উল্লেখ ছিল বিমা কোম্পানি টাকার বিষয়টি সম্বন্ধীয় ক্লেম রিসিভ করেছে। যদি আমি ১৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার সময় ভর্তি হয়ে থাকি তবে কেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিমা কোম্পানিকে জানাতে দুই দিন সময় লাগল? আমি ১৭ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত বিমা অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করি। অপেক্ষা করতে করতে ক্লান্ত হয়ে যাই। তখন সিদ্ধান্ত নিই হাসপাতালের বিল নিজের পকেট থেকেই মেটাব। অর্থ প্রদানের সময় বিলের থেকে বাড়তি অর্থ নেওয়া হয় আমার থেকে।' জানা গিয়েছে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বিমা কোম্পানি রিইমবার্সমেন্ট ক্লেমের দাবি প্রসিডই করেনি।