৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার ভারতীয় জনতা পার্টি তার অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলেএকটি রিল পোস্ট করে। এট একটি অ্যানিমেটেড ভিডিয়ো ছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী এবং অন্যান্য নেতাদের কার্টুনের আকারের ভিডিয়ো।ভিডিয়োতে বলা হচ্ছিল, এবার তা ৪০০ ছাড়িয়েছে। শ্রী নরেন্দ্র মোদীর এই সময়ে আমাদের পূর্ণ সমর্থন প্রয়োজন। প্রত্যেক ভারতীয়কে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নরেন্দ্র মোদীকে সমর্থন করতে হবে। ব্যাপারটা সহজ। কংগ্রেস দল ক্ষমতায় এলে অমুসলিমদের থেকে সমস্ত অর্থ ও সম্পত্তি ছিনিয়ে নিয়ে মুসলমানদের দিয়ে দেবে। তার প্রিয় সম্প্রদায়। মনমোহন সিং আগেই বলেছিলেন, আমাদের সম্পদের উপর ফ্রথম দাবি মুসলমানদের।
বিজেপির এই ভিডিয়োতে হানাদারদের সম্পর্কে আরও তথ্য দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছিল যে, প্রাচীন ভারত শুধু সুন্দরইছিল না, খুব সমৃদ্ধও ছিল। প্রত্যেক ভারতীয়ের কাছে প্রচুর সোনা ছিল এবং এই সমৃদ্ধি দেখে অনুপ্রবেশকারী এবং ডাকাতরা বার বার আসত। তারা ভারতীয়দের সমস্ত সম্পত্তি লুঠ করে নিজেদের মধ্যে বন্টন করত। আমাদের মন্দিরগুলিও ধ্বংস করা হয়েছিল।
এরপরই এই ভিডিয়োতে বলা হয়, কংগ্রেস দল এই সম্প্রদায়ের মানুষকে ক্ষমতায়ন করতে চলেছে। কংগ্রেস পার্টির ইস্তেহার আসলে মুসলিম লীগের আদর্শের উপর ভিত্তি করে তৈরি। আপনি যদি অমুসলিম হন, কংগ্রেস আপনার সম্পত্তি কেড়ে নেবে। নরেন্দ্র মোদী এই ষড়যন্ত্র জানেন। এটা বন্ধ করার ক্ষমতা শুধু তাদেরই আছে।
অফিসিয়াল পেজে এই পোস্টটি প্রকাশ পাওয়ার পরই অনেক ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী এই বিবৃতিটিকে ‘ঘৃণা ছড়ানো’ বলে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই ব্যবহারকারীরা বলেছেন যে এটি কেবল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী দল, ক্ষমতাসীন দলের কাছে একটি আবেদন। কিন্তু এর টার্গেট শুধু তার নির্বাচনী প্রতিপক্ষের দিকে নয়, বরং পুরো সম্প্রদায়ের দিকে। দেশের জনসংখ্যার প্রায় ১৫ শতাংশ হানাদার এবং ডাকাতদের একটি সম্প্রদায় হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
এই পোস্টটি ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়। পোস্টের বিরোধীতাকারীরা যুক্তি দিয়েছিলেন যে কংগ্রেসের ইস্তেহারে কোথাও লেখা নেই যে তারা অমুসলিমদের অর্থ ও সম্পত্তি কেড়ে নেবে এবং মুসলমানদের দেবে। কিন্তু এই আখ্যান সরাসরি আসছে বিজপির দক্ষ নেতৃত্বর থেকে।
এরপরই তড়িঘড়ি ভিডিয়োটি অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম পেজ থেকে সরিয়ে দেয় বিজেপি। তবে বিজেপি নিজেই এই ভিডিয়োটি সরিয়ে দিয়েছে নাকি ব্যাপক আপত্তি দেখে ইনস্টাগ্রাম এটি সরিয়ে দিয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এখন এই ভিডিও বিজেপির হ্যান্ডেলে নেই। তবে, বিজেপি নিজেই এই ভিডিওটি সরিয়ে দিয়েছে নাকি ব্যাপক আপত্তি দেখে ইনস্টাগ্রাম এটি সরিয়ে দিয়েছে তা স্পষ্ট নয়।