Delhi Women Commission: ভোটের মধ্যে আরও চাপে আপ! নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে চাকরিহারা দিল্লি মহিলা কমিশনের ২২৩ জন কর্মী
এই সময় | ০২ মে ২০২৪
ভোটের বাজারে ফের ডামাডোল রাজধানীতে। দিল্লি মহিলা কমিশনের ২২৩ জন কর্মীকে ছাঁটাই করলেন দিল্লি লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা। প্রয়োজনীয় অনুমতি ছাড়াই ওই কর্মীদের বেআইনিভাবে নিয়োর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ডিডব্লিউসি-র চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল।অভিযোগ, তিনি নিয়ম বিরুদ্ধভাবে প্রয়োজনীয় অনুমতি না নিয়ে এই নিয়োগ করেছেন। তাই এই ২২৩ জনের চাকরি বাতিল করলেন ভি কে সাক্সেনা।
স্বাতী মালিওয়াল দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারপার্সন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে আম আদমি পার্টি তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে মনোনীত করে। এরপর স্বাতী ডিডব্লিউসি-র চেয়ারপার্সনের পদ থেকে ইস্তফা দেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিয়ম না মেনে ২২৩ জনকে নিয়োগ করেছিলেন তিনি।
লেফটন্যান্ট গভর্নরের অফিসের জারি করা নির্দেশটি দিল্লি কমিশন ফর উইমেন অ্যাক্টের উদ্ধতি দিয়ে বলে যে, প্যানেলে ৪০ জন কর্মচারীর অনুমোদিত ক্যাপাসিটি রয়েছে এবং লেফটেন্যান্ট গভর্নরের অনুমতি ছাড়াই ২২৩টি নতুন পদ তৈরি করা হয়েছিল। আদেশে আরও বলা হয়েছে, চুক্তিতে কর্মচারী নিয়োগের এখতিয়ার কমিশনের নেই।
এতে আরও বলা হয়েছেযে, কমিশনকে জানানো হয়েছিল যে তারা অর্থ বিভাগের অনুমোদন ছাড়া ‘সরকারের জন্য অতিরিক্ত আর্থিক দায়বদ্ধতা জড়িত’ এমন কোনও পদক্ষেপ নেবে না।
একটি তদন্তেবলা হয়েছে, এই নিয়োগগুলি নির্দারিত পদ্ধতি অনুযায়ী করা হয়নি। এছাড়াও ডিডব্লিউসি-র কর্মীদের পারিশ্রমিক এবং ভাতাবৃদ্ধি পর্যাপ্ত ন্যায্যতা ছাড়াই এবং নির্ধারিত পদ্ধতি এবং নির্দেশিকা লঙ্ঘন করেছে।
আপ সাংসদ হিসেবে রজ্যসভায় প্রবেশের আগে স্বাতী মালিওয়াল নয় বছর ধরে দিল্লি কমিশন ফর উইমেনের প্রধান ছিলেন। প্যানেলের চেয়ারপার্সনের পদটি বর্তমানে শূণ্য রয়েছে। নির্দেশে বলা হয়েছে যে স্বাত মালিোয়ালকে নিয়োগের বিষয়ে অর্থ বিভাগের অনুমোদন নেওয়ার জন্য বারবার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
যদিও এবিষয়ে আপ বা স্বাতী মালিওয়ালের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এই কর্মী ছাঁটাই লেফটেন্যান্ট গভর্নরের অফিস এবং জাতীয় রাজধানীর প্রশাসনের উপর ক্ষমতাসীন আপ এর মধ্যে আরেকটি ফ্ল্যাশপয়েন্ট হয়ে উঠতে পারে। আপের তরফে বারবারই অভিযোগ করা হয়েছে যে তাদের কাজে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কার্যালয় বারবার বাধা দিয়েছে।
লেফটেন্যান্ট গভর্নর হলেন একজন কেন্দ্রীয় নিযুক্ত যে আপ ক্ষমতাসীন বিজেপিকে অবাধে কা করতে না দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেছে।
গোটা বিষয়টি এমন সময় ঘটেছে যখন আপ নেতা তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বাতিল করা মদ দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতারের পর জেলে রয়েছেন