রেকর্ড হাতছাড়া, মাধ্যমিকে পাশের হারের নিরিখে প্রথম স্থানে নেই পূর্ব মেদিনীপুর
এই সময় | ০২ মে ২০২৪
পূর্ব মেদিনীপুরের সঙ্গে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে সাফল্য শব্দটির বহু পুরনো যোগ। গত কয়েক বছর ধরে গোটা রাজ্যে পাশের হারের নিরিখে প্রথম স্থান দখল করে আসছে পূর্ব মেদিনীপুর। ২০২৩ সালে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় পাশের হার ছিল ৯৬.৮৬ শতাংশ। পূর্ব মেদিনীপুরের পরে ছিল কালিম্পং। কিন্তু, ২০২৪ মাত্র এক বছরের ব্যবধানেই সব হিসাব উলটে পালটে গেল। কালিম্পং মাধ্যমিকে পাশের হারের নিরিখে উঠে এল প্রথম স্থানে। জায়গা হারিয়ে দ্বিতীয়তে 'স্লিপ' পূর্ব মেদিনীপুরের। তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা।পরীক্ষা হওয়ার ৮০ দিনের মাথায় প্রকাশিত হল মাধ্যমিকের ফলাফল। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে ফলাফল ঘোষণা করেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছিলেন এই বার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন ৯ লাখ ১০ হাজার ৫৯৮ জন। তাঁর মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ৪ লাখ ৩ হাজার ৯০০ জন এবং ছাত্রী সংখ্যা ৫ লাখ ৮ হাজার ৬৯৬ জন। এই বছর পরীক্ষায় পাশ করেছেন ৭ লাখ ৬৫ হাজার ২৫২ জন। পাশের হার বেড়ে হয়েছে ৮৬.৩১ শতাংশ। ২০২৩ সালে তা ছিল ৮৬.১৫ শতাংশ।
মেদিনীপুর জেলায় দ্বিতীয় স্থানে নেমে যাওয়া যেমন ভাবাচ্ছে শিক্ষাবিদদের, তেমনই কলকাতার তৃতীয় স্থানে উঠে আসা নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে। প্রবীণ শিক্ষকদের একাংশের কথায়, ‘পশ্চিমবঙ্গ বোর্ডের ক্ষেত্রে কলকাতার পিছিয়ে যাওয়ার একটা বড় কারণ ইংরেজি মাধ্যমের দিকে ঝোঁক। তবে এবার পাশের হারের নিরিখে কলকাতার তৃতীয় স্থানে উঠে আসা অত্যন্ত ইঙ্গিতপূর্ণ।’
উল্লেখ্য, এবার মাধ্যমিকে প্রথম দশে রয়েছে ৫৭ জন। তাঁদের মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের সাত জন পড়ুয়া রয়েছে। হলদিয়ার বিবেকানন্দ মিশন আশ্রম শিক্ষায়তনের দুই পরীক্ষার্থী মেধা তালিকায় রয়েছে। একজন সপ্তম স্থানে এবং অন্যজন নবম স্থানে। কৌস্তভ মাল হয়েছে সপ্তম এবং সাগ্নিক ঘটক হয়েছে নবম। উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে মাধ্যমিকে পাশের হারের গণ্ডি ৯০ শতাংশ পার করতে পারেনি। এই বছরও সেই চিত্রটা বদলায়নি।
২০২২ সালে পাশের হার ছিল ৮৬.৬ শতাংশ। ২০২১ সালে করোনা আবহে ইন্টারনাল ফরম্যাটিং ইভ্যালুয়েশন পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করা হয়। ২০২০ সালে মাধ্যমিকে পাশের হার ছিল ৮৬.৩৪ শতাংশ, ২০১৯ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশের হার ছিল ৮৬.০৭ শতাংশ, ২০১৮ সালে সেই পরিসংখ্যানটা ছিল ৮৫.৪৯ শতাংশ।