সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়? আমি যেই দিকেতে চাই, দেখে অবাক বনে যাই, আমি অর্থ কোনও খুঁজে নাহি পাই রে ?। সত্যজিৎ রায়ের কালজয়ী ছবির গান এক সংবাদমাধ্যমের সামনে গুনগুনিয়ে উঠলেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। একদিন আগেই তাঁকে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সরিয়েছে দল। তার পরদিনই কুণালের হীরক রাজার দেশের গান গাওয়াটা ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
এদিন সকালেই ফেসবুকে প্রাক্তন তৃণমূল (TMC) সাংসদ লেখেন, ?আজ আরেকবার ?হীরক রাজার দেশে? দেখব।? তার কয়েক ঘণ্টা পরেই সেই ছবির একটি অর্থবহ গানও গাইতে শোনা গেল কুণালকে। তবে কি গান গেয়ে মনের কথা বোঝাতে চাইলেন কুণাল? বুধবার রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদ খোয়ানোর পরই তিনি বলেছিলেন, তাঁকে অপসারণ করা হল কোন যুক্তিতে? সেটার ?অর্থ? খুঁজে পাচ্ছেন না। যে পদগুলি নিজেই ছাড়তে চেয়েছিলেন, সেই পদ থেকেই তাঁকে সরানোর অর্থটা কী?
এর পর ওই গানের ভাবার্থের সঙ্গে তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষার দায়িত্বে থাকা নেতৃত্বকেও মিলিয়ে দিলেন কুণাল। বললেন, যারা মন যুগিয়ে চলবে, যাদের নিজস্বতা থাকবে না, তারাই শৃঙ্খলাপরায়ণ। তবে একে শৃঙ্খলা বলব না কি শৃঙ্খল, তা বুঝতে পারছি না। আমার মনে হয় ওঁরা চান, কয়েকটা যন্ত্র থাকবে, যাঁরা শুধু শৃঙ্খলাপরায়ণ নয়, শৃঙ্খল পরায়ণ।’ যার সঙ্গে মিল আছে হীরক রাজার দেশে সিনেমার। সেখানে রাজার কথায় সায় দিলেই মিলত সম্মান। কুণালও কি তৃণমূলের নেতাদের সেই পারিষদদের সঙ্গে তুলনা করলেন?
ঘটনাচক্রে এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুরও প্রশংসা শোনা গিয়েছে কুণালের মুখে। সুদীপকে নিশানা করতে গিয়ে কুণাল বললেন, ?বিরোধী নেতা হিসাবে শুভেন্দু ভালো পারফর্ম করছেন। তিনি গোটা রাজ্য ঘুরে ঘুরে জনসভা করে চলেছেন। তাঁর যা দায়িত্ব পালন করছেন। সুদীপদার শেখা উচিত শুভেন্দুকে দেখে। একজন অভিজ্ঞ সাংসদ। দলের লোকসভার দলনেতা হয়েও এই ভোটে শুধু নিজেকে উত্তর কলকাতায় সীমাবদ্ধ রেখেছেন? মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যজুড়ে সভা করে যাচ্ছেন, তাহলে সুদীপদা রাজ্যজুড়ে ঘুরে ঘুরে কেন সভা করছেন না। কেন অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা, নরেন্দ্র মোদিদের আক্রমণ করছেন না।?