• Fact Check : কেরালায় মন্দিরের সামনে চলছে মাংস বিক্রি? জানুন ভাইরাল পোস্টের সত্যতা
    এই সময় | ০২ মে ২০২৪
  • সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দাবি করা হচ্ছে, মন্দিরের নীচে চালানো হচ্ছে মাংসের দোকান। শুধু তাই নয়, আরও দাবি করা হয়েছে এই জায়গাটি কেরালায় রাহুল গান্ধীর কেন্দ্র ওয়ানাড়। কিন্তু, এই দাবিতে কোনও সত্যতা নেই।কী ভাইরাল হয়েছে?

    সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মন্দিরের মতো একটি কাঠামোর নীচে রয়েছে ছোট্ট দোকান। একটি কণ্ঠস্বরকে বলতে শোনা যাচ্ছে, 'বন্ধুরা, এটা সীতা রাম মন্দির। এর নীচে একটি দোকান রয়েছে যা মাংসের। এটি মন্দির চত্বর, আর তা সীতা রামের মন্দির। এটা একটা মাংসের দোকান আপনি একটি লেখা দেখতে পাবেন হিন্দিতে।' এখানেই শেষ নয়, এই মাংসের দোকানটি রাহুল গান্ধী উদ্বোধন করেন, একটি পোস্টে এমনটাও দাবি করা হয়।কিন্তু, এই দাবিটি আদৌ সত্যি নয়।

    View this post on InstagramA post shared by Makhan Ram jaipal (@makhanramjaipal)

    তদন্ত

    এই ভাইরাল পোস্টের তদন্ত করে লজিক্যালি ফ্যাক্টস। এই ভাইরাল পোস্টে পাকিস্তান থেকে অনেক মন্তব্য করা হয়। এর প্রেক্ষিতে একটি ইউ টিউব ব্লগ সামনে আসে যেখানে চ্যানেলের নাম ছিল 'মাখন রাম জয়পাল ভ্লগস'। সেখানে ২০২৩ সালে ২৫ অগাস্ট -এ দেখা যায় একটি পোস্টের সঙ্গে ভাইরাল মন্দিরের পোস্টটি হুবহু মিলে যাচ্ছে।

    ভ্লগে দেখানো মন্দিরটি পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের ঝাং জেলার একটি শহর আহমেদপুর সিয়ালে অবস্থিত এবং সেখানে আশেপাশে কোনও হিন্দু বসবাস করে না।

    ভিডিয়োটির ১.১৫ মিনিটে দেখা যাচ্ছে মন্দির এবং সামনে একটি মুরগির দোকান। এরপর ওই ভ্লগে গিয়ে বোঝা যায়, পাকিস্তানের একাধিক ভিডিয়ো সেখানে পোস্ট করা হয়েছে। ভ্লগারের ইনস্টাগ্রামেও এই ভিডিয়োটি শেয়ার করা হয় ১৭ এপ্রিল।

    মন্দিরটির ইতিহাস

    পাকিস্তানের সংবাদপত্র 'দ্য ফ্রাইডে টাইমস'-এ সীতা রাম মন্দির নিয়ে একটি ফিচার প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে ঝাং জেলার আহমেদপুর সীতা রাম মন্দিরটি সেই অঞ্চলের উনিশের শতকের স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন। সেখানে একসময় বহু হিন্দুর বসবাস ছিল এবং অনেক মন্দির ছিল। ১৯৯২-তে বাবরি মসজিদের ঘটনার সময় ওই মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটে। এখন আর তা মন্দির নয় বরং বাজার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। মন্দিরের ভেতরে যা যা দামী জিনিস ছিল তা চুরি হয়ে গিয়েছে। গুগল ম্যাপের তথ্যও বলছে এই মন্দিরটি পঞ্জাবে অবস্থিত।

    উপসংহার

    এই যাবতীয় তথ্যের ভিত্তিতে এটা স্পষ্ট যে মন্দিরটি পাকিস্তানে অবস্থিত এবং এখন আর তা মন্দির নয়। তা বাজার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর সঙ্গে ওয়ানাডের কোনও সম্পর্ক নেই। অর্থাৎ ভাইরাল পোস্টের দাবি ভুয়ো।

    (This article was originally published by Logically Facts and later edited and translated by Ei Samay Digital)
  • Link to this news (এই সময়)