• Covishield Side Effects: '১০ লাখের মধ্য়ে ৭-৮ জনের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া! ভয়ের কারণ নেই', কোভিশিল্ড নিয়ে আশার বাণী চিকিৎসকদের
    এই সময় | ০২ মে ২০২৪
  • দিন কয়েক ধরেই খবরের শিরোনামে করোনার টিকা কোভিশিল্ড। হঠাৎই এই কোভিড ভ্যাকসিনের নামে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে মানুষ। ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকার একটি বিবৃতির পর থেকেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ওই বিবৃতি প্রকাশের পরই কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন যাঁরা নিয়েছেন একাধিক প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তাঁরা। ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা স্বীকার করেছে, বিরল ক্ষেত্রে কোভিশিল্ড থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিন্ড্রোম (টিটিএস) সহ থ্রম্বোসিসের কারণ হতে পারে। অর্থাৎ এই ভ্য়াকসিন নেওয়ার ফলে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে এবং প্লেটলেটের সংখ্যা কমাতে পারে। থ্রম্বোসাইটোপেনিয়ার গুরুতর ক্ষেত্রে, এটি স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকও হতে পারে। এমন বিবৃতি প্রকাশের পর দেশে সাড়া পড়ে যায়। কারণ করোনা কালে এই ভ্য়াকসিন নিয়েছেন বহু মানুষ। তাহলে কি ভবিষ্যতে রক্ত জমাট বাঁধার মতো সমস্যা ভুগবেন তাঁরা? দানা বাঁধে সেই প্রশ্নও।ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট AstraZeneca এর মতো একই সূত্র ব্যবহার করে ভারতে Covishield ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। দেশে বহু মানুষই এই ভ্য়াকসিন নিয়েছেন। তবে করোনা টিকা কোভিশিল্ডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে এF খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই আতঙ্ক ছড়ায়। তবে আশার বাণী শোনাচ্ছেন চিকিৎসকরা। ভারতের বেশিরভাগ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের আশ্বাস, অযথা ভয় পাওয়ার কারণ নেই। সকলে আক্রান্ত হবেন এমনটা নয়। শুধুমাত্র বিরল ক্ষেত্রেই সমস্য়া দেখা দিতে পারে।

    বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত মামলা গড়িয়েছে দেশে। ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তদন্তের জন্য চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল গঠনের জন্য আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টে। তাঁর আবেদন, ভ্য়াকসিনেরর কারণে কোনও ঝুঁকির সম্ভাবনা রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করার নির্দেশনা দেওয়া উচিত। পুরো প্রক্রিয়াটি হওয়া উচিত সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির তত্ত্বাবধানে বলে আবেদন করেছেন তিনি।

    সিরাম ইনস্টিটিউট আগস্ট কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে তার ওয়েবসাইটে তথ্য দিয়েছে। সংস্থার তরফে জানানো হেছে, থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া বা কম প্লেটলেট সংখ্যার কারণে রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা হতে পারে। সংস্থাটি তরফে জানানো হয়েছে, এক লাখের মধ্যে একজনেরও কম ক্ষেত্রে এটি ঘটতে পারে এবং বিষয়টিকেসংস্থার তরফে খুব বিরল ঘটনা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

    আইসিএমআর-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর জেনারেল, ডঃ বলরাম ভার্গবের কথায়, 'কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সর্বোচ্চ তিন থেকে চার সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। তাও শুধুমাত্র বিরল ক্ষেত্রে। ভারতে কোটি কোটি ডোজ Covishield দেওয়া হয়েছে, কিন্তু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুব কম ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে।' তিনি দাবি করেছেন ভ্যাকসিন নেওয়ার আড়াই বছর পর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার আশঙ্কা নেই এবং অযথা ভয় পাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। প্রাক্তন ICMR বিজ্ঞানী তথা চিকিৎসক রমন গঙ্গাখেদকর বলেছেন, 'টিটিএস টিকাটি লঞ্চের ছয় মাসের মধ্যে অ্যাডেনোভাইরাস ভেক্টর ভ্যাকসিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসাবে চিহ্নিত হয়েছিল। এই ভ্যাকসিনের বোঝাপড়ায় নতুন কোনও পরিবর্তন নেই। কোভিশিল্ড নিয়েছেন এমন ১০ লাখ মানুষের মধ্যে ঝুঁকির সম্ভাবনা রয়েছে সাত বা আটজনের। অন্য়দিকে, ডাঃ রাজীব জয়দেবন বলেন, টিটিএস রক্তনালীতে জমাট বাঁধতে পারে, তবে কিছু ভ্যাকসিন ব্যবহারের পর এটি খুবই বিরল।' তিনি এও জানিয়েছেন, কোভিড ভ্যাকসিন একাধিক মৃত্যু রোধ করতে সাহায্য করেছে। তিনি বলেন, ' থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম (Thrombosis With Thrombocytopenia Syndrome) তথা টিটিএস মানে রক্ত জমাট বাঁধা। কম প্লেটলেট গণনা সহ, এটি মস্তিষ্ক বা অন্যান্য রক্তনালীতে জমাট বাঁধার কারণ হতে পারে।
  • Link to this news (এই সময়)