Kanpur Wedding News: 'টয়লেট থেকে আসছি...!' গয়না হাতিয়ে বিয়ের আসর থেকে পালাল পাত্রী, 'ভাগলবা' কন্যাযাত্রীও
এই সময় | ০২ মে ২০২৪
ঝাঁসি জলার নাইকাইরার বাসিন্দা খালাক সিং পেশায় একজন ট্রাক চালক। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে কানপুরের পলক ম্যারেজ অফিসে বিয়ের জন্য নিজের নাম নিবন্ধন করেন তিনি। তবে বিয়ের নামে এভাবে প্রতারিত হতে হবে তা ভাবতে পারেননি ওই ব্যাক্তি। হয়তো সারা জীবন এই প্রতারণার কথা ভুলতেো পারবেন না তিনি।অভিযোগ বিয়ের দিন বিয়ের মঞ্চ থেকেই পলিয়ে যায় কনে। যাওয়ার সময় টাকা এবং সোনার গয়না সঙ্গে করে নিয়ে যায়। বিয়ে চলাকালীন হঠাৎই টয়লেটে যাওয়ার কথা বলে পাত্রী। তারপর আর ফিরে আসেননি।
জানা গেছে, ঝাঁসি জেলার নাইকাইরার বাসিন্দা খালাক সিং পেশায় একজন ট্রাক চালক। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে কানপুরের ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন অফিসে বিয়ের জন্য নিবন্ধন করেছিলেন। এরপর বিয়ের বিবরণ দেখাতে ওই ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন ব্যুরো থেকে খালাক সিংকে ফোন করেন এক মহিলা। ওই মহিলা তাঁকে জিজ্ঞেস করে তিনি কি বিবাহিত? খালাক সিং না বলেন। এরপর ওই মহিলা তাকে রেজিস্ট্রেশনের জন্য ২৫ হাজার টাকাজমা করতে বলেন। এরপর থেকে ওই ম্যরেজ ব্যুরো বিভিন্ন মেয়ের সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য খালাক সিংকে দিয়ে বার বার তাঁর থেকে টাকা নেয়।
প্রতারিত যুবক খালাক সিংয়ের অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত তিনি ওই ম্যারেজ ব্যুরোকে এক লাখ ১ হাজার টাকা দিয়েছেন। এর প্রায় তিন মাস পর চলতি বছরের ১০ এপ্রিল ম্যারেজ ব্যুরো অপারেটর নেহা ওরফে জ্যোতি খালাককে প্রিয়া ভার্মা নামে একটি মেয়ের নথি দেয়। এবং তার সঙ্গেই খালাক সিংয়ের বিয়ের কথা বলা হয়।
বিষয়টি জানতে পেরে খালাক সিং বিয়ের প্রস্তুতি শুরু করে দেন। এরপর নির্ধারিত তারিখে বড়দেবী মন্দিরে পৌঁছয় কন্যাপক্ষ এবং বরপক্ষ দু তরফই। সেখানেই শুরু হয় বিয়ের অনুষ্ঠান। একটি বিয়ে উপলক্ষে যেমনটি হয়ে থাকে ঠিক তেমনই এই বিয়েতেও খালাক সিং তার হবু স্ত্রীকে লক্ষাধিক টাকার গয়না দিয়েছিলেন।
অভিযোগ, বিয়ে চলাকালীন সাত পাকেরঠিক আগেই আচমকা টয়লেটে যাওয়ার কথা বলে কনে প্রিয়া। এমনকি টয়লেটে যাওয়ার সময় নিজের সঙ্গে খালাক সিংয়ের দেওয়া লক্ষাধিক টাকার গয়না এবং বেশকয়েক হাজার টাকা নগদও নিয়ে যায়। কিন্তু সময় বয়ে গেলেও আর বিয়ের মণ্ডপমুখো হয়নি পাত্রী। গোটা ঘটনায় চিন্তায় পড়ে যান খালাক সিং। তখন প্রিয়ার সঙ্গে থাকা কন্যাযাত্রীর লোকেরা প্রিয়ার খোঁজে যায়। তবে পরে বোঝা যায় গোটাটাই একটি প্রতারণার জাল। কারণ পাত্রীকে খুঁজতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি
শেষপর্যন্ত খালাক সিং বুঝতে পারেন যে তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। অবশেষে তিনি থানার দ্বারস্থ হন।
দক্ষিণ কানপুরের ডিসিপি রবীন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, বিয়ের নামে লাখ লাখ টাকা প্রতারণা করা হয়েছে খালাক সিংকে। তাঁর তরফ থেকে পাওয়া অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।