কাজের জন্য প্রায়শই ঝাড়খণ্ডে যাতায়াত করতে হয় বিহারের নীরজ কুমারকে। পেশায় কৃষক নীরজ বিহার থেকে ঝাড়খণ্ড যাতায়াতের পথে প্রায়ই একটি নির্দিষ্ট পেট্রোল পাম্প থেকে তেলও ভরেন। তবে এই পেট্রোল পাম্ই একদিন তাঁর জীবন বদলে দেবে তা আর কে জানত? আর সেটাই হয়েছে নীরজ কুমারের সঙ্গে।লাকি ড্রয়ের মাধ্যমে সারা ভারতে গ্রাহকদের উপহার দেওয়া হয়। একই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে ভাগলপুর জেলার একচারি এলাকার এক কৃষক নীরজ সুমার সিং ঝড়খণ্ডের গোড্ডার হানোয়ারায় নাইরা পেট্রোল পাম্প থেকে তাঁর বাইকে ২১০ টাকার পেট্রোল ভরেছিলেন। সেই সময় পেট্রোল পাম্পে লটারি স্কিমের জন্য কুপন ভর্তি করা হচ্ছল। তাই নীরজ কুমার সিংও কুপন ভরে বাড়িতে ফিরে আসেন।
এরপর মার্চ মাসে বিহারের নীরজ কুমারের কাছে ঝড়খণ্ড থেকে একটি ফোন আসে। ফোনে তাঁকে জানানো হয় যে লাকি ড্রয়ের মাধ্যমে একটি আস্ত হুন্ডাই ভেন্যু মডেলের গাড়ি জিতেছেন তিনি। ফোন কলটি পেয়ে প্রথমেই তাঁর মনে হয় হয়তো তিনি সাইবার জালিয়াতির শিকার হয়েছেন। কিন্তু যখন তাঁকে পেট্রোল পাম্পে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র জমা দিতে বলা হয় তখন তিনি বিশ্বাস করেন যে এটি কোনো ভুয়ো কল নয়, বরং সত্যিই তিনি হুন্ডাইয়ের ভেন্যু গাড়িটি জিতেছেন।
নীরজ জানিয়েছেন, একজন কৃষকের কাছ গাড়ি পাওয়াটা অনেক বড় ব্যাপার। আর এই গাড়িটি পেয়ে তিনি অত্যন্ত খুশি। পেট্রোল পাম্পের মালিক সুধাংশু গোয়েলও নীরজের হাতে গাড়ির চাবি তুলে দেওয়ার সময় বেশ উচ্ছ্বসিত ছিলেন।
তিনি বলেন, সারা ভারতে গাড়ি কোম্পানিগুলো লাকি ড্রয়ের মাধ্যমে গ্রাহকদের উপহার দেয় এবং হানওয়ারার পেট্রোল পাম্প এতোটাই ভাগ্যবান যে দুই বছরে দুই গ্রাহক পেট্রোল পাম্পে গাড়ি পেয়েছেন।
কাজের সূত্রে প্রায়শই বিহার থেকে ঝড়খণ্ডে যেতে হয় নীরজ কুমরকে। আর এই যাওয়া আসার পথে ঝড়খণ্ডের গোড্ডার হানোয়ারায় নাইরা পেট্রোল পাম্প থেকেই প্রত্যেকবার বাইকে পেট্রোল ভরান তিনি। ঝাড়খণ্ডে বিহারের তুলনায় সস্তায় পেট্রোল পাওয়া যায় বলেই এখানে কাজের সূত্রে এলেই নিজের বাইকের ট্যাঙ্ক ভর্তি করিয়ে নেন নীরজ কুমারসিং। তবে রোজকার পথচলতি গন্তব্য যে কোনও দিন তাঁর ভাগ্যের চাকা এইভাবে ঘুরিয়ে দেবে তা অবশ্য কল্পণার অতীত ছিল নীরজ কুমারের। খুব স্বাভাবিকভাবেই নিজের ভাগ্যকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না বিহারের এই কৃষক।