কলকাতা মেট্রোয় চড়ে আনন্দ পেয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়, জন্মদিনে দেখুন ছবি
এই সময় | ০৩ মে ২০২৪
কলকাতা মেট্রো, দেশের মধ্যে প্রথম পাতাল পথ। তারপর থেকে সময় যত এগিয়েছে এর মুকুটে যুক্ত হয়েছে একের পর এক পালক। ছড়িয়েছে শাখা-প্রশাখা। এমনকী এখন তো গঙ্গার নীচ দিয়েও চলছে মেট্রো। এর এই দীর্ঘ বছরের ইতিহাসে এই মেট্রোয় পা রেখেছেন বহু দিকপাল ব্যক্তিত্ব। বলতে গেলে বহু নামজাদা মানুষের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে মেট্রেরেলের স্মৃতি, তাঁদেরই একজন প্রবাদপ্রতীম চিত্রপরিচালক সত্যজিৎ রায়। আর তাই সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিনে তাঁর পাতাল রেলে সফরের স্মৃতি সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিল কলকাতা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ।সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিনে একগুচ্ছ ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয়েছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের তরফে। সেই ছবিগুলিতে কখনও মেট্রো স্টেশনে, কখনও আবার রেকের সামনে দেখা যাচ্ছে সত্যজিৎ রায়কে। ছবিগুলির ক্যাপশনে লেখা হয়ে, 'বিশ্ববরেণ্য চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায় সস্ত্রীক কলকাতা মেট্রোয় ভ্রমণ করেছিলেন। ভ্রমণ শেষে সামগ্রিক ব্যবস্থা দেখে ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন দেশের এই প্রথম মেট্রোর। আজ তাঁর জন্মদিনে ফিরে দেখা সেদিনের কিছু দুর্লভ মুহূর্ত........।' ছবিগুলি শেয়ার করার পর থেকেই বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে নেটিজেনদের পক্ষ থেকে। বিভিন্ন কমেন্টও করেছেন ইউজাররা।
এদিকে কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ গত মার্চ মাসে হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড গ্রিন লাইন ২ করিডোরে বাণিজ্যিক পরিষেবা শুরু করেছে৷ প্রথম দিন থেকেই, এই লাইনটি কলকাতা মেট্রোর অন্যতম জনপ্রিয় করিডোর হয়ে উঠেছে। কারণ এটি হাওড়া, হুগলি, মেদিনীপুরের মতো দূরবর্তী স্থান থেকে আসা যাত্রীদের হাওড়া স্টেশনে মেট্রো পরিষেবা দিতে সক্ষম হয়েছে৷ এসপ্ল্যানেডে এই যাত্রীরা সহজেই গ্রিন লাইন করিডোর থেকে ব্লু লাইন করিডোরে যেতে পারছেন এবং ইন্টিগ্রেটেড টিকিট ব্যবহার করে দক্ষিণেশ্বর বা কবি সুভাষ পর্যন্ত যেতে পারছেন।
যাঁরা ব্লু লাইন থেকে গ্রিন লাইনে যাচ্ছেন, তাঁদের সুবিধার জন্য ব্লু লাইন থেকে গ্রিন লাইনের মধ্যে একটি নতুন প্রবেশ পথ খুলেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এই নতুন এন্ট্রি গেটটি ১২ ফুট চওড়া যা ব্যস্ত সময়ে যাত্রীদের চলাচলকে আরও সুগম করবে। এছাড়া ৯ ফুট প্রশস্ত প্যাসেজ যা এতদিন উভয় করিডোরের অভ্যন্তরীণ এবং বহির্মুখী যাত্রীদের যাতায়াতের জন্য ব্যবহার হত, তা এখন শুধুমাত্র গ্রীন লাইন থেকে ব্লু লাইনে যাত্রীদের অভ্যন্তরীণ চলাচলের জন্যই ব্যবহার করা হচ্ছে।
গ্রিন লাইন ২ খোলার পর যাত্রী সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যাত্রীদের অবাধ এবং মসৃণ চলাচলের জন্য, মেট্রো কর্তৃপক্ষ স্টিকার, ব্যানার এবং পোস্টারেরও ব্যবস্থা করেছে, যা নির্দেশ করে যে যাত্রীদের নিজেদের গন্তব্য বা প্ল্যাটফর্মে পৌঁছানোর জন্য কোন পথ অনুসরণ করা উচিত। ফলে সুবিধাও হচ্ছে যাত্রীদের।