• Covishield Side Effects: কোভিশিল্ড নিয়ে আতঙ্ক! পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঘোষণার আগেই যে সব দেশে নিষিদ্ধ এই ভ্য়াকসিন
    এই সময় | ০৩ মে ২০২৪
  • করোনা অতিমারী থেকে বাঁচার রক্ষাকবচ বলে দাবি করা কোভিশিল্ডের ভয়ংকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা কয়েক দিন আগেই স্বীকার করে নিয়েছে ওষুধ নির্মাণ সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা। অ্যাস্ট্রাজেনেকা-অস্কফোর্ডের এই টিকা ভারতের তৈরি করেছিল পুণের সিরাম ইনস্টিটিউট। আদালতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার তরফে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে এই ভ্য়াকসনের কারণে অতি বিরল থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম বা 'টিটিএস' রোগে রোগী আক্রান্ত হতে পারেন। এই বিরল রোগে আক্রান্ত হয়ে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে সংস্থার তরফে তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়েছে। তবে ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই আতঙ্কে ভুগছেন দেশের বহু মানুষ। কারণ ভারতে এই ভ্য়াকসিন গ্রহীতার সংখ্য়া কম নয়। কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন ঘিরে বর্তমানে একাধিক প্রশ্ন মাথাচাড়া দিচ্ছে সাধারণ মানুষের মনে। একাধিকদেশে এই ভ্য়াকসিন অনেক আগেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে।জানা গিয়েছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন তৈরি করার পর তা নিয়ে পুনরায় অনুসন্ধান চালিয়েছিল কয়েকটি দেশ। তাদের অনুসন্ধান অনুযায়ী এই ভ্যাকসিনকে নিরাপদ মনে করা হয় হয়নি। তারপর থেকে বেশ কয়েকটি দেশে এই ভ্য়াকসিন নিষিদ্ধ হয়। ডেনমার্কই প্রথম দেশ যেখানে অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিড ভ্য়াকসিন প্রথম নিষিদ্ধ হয়। এরপর আয়ারল্যান্ড, থাইল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, আইসল্যান্ড, কঙ্গো এবং বুলগেরিয়াতেও এই ভ্যাকসিন নিষিদ্ধ করে। জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি এবং স্পেন সহ ইউরোপীয় দেশগুলিও ২০২১ সালে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছিল। কানাডা, সুইডেন, লাটভিয়া এবং স্লোভেনিয়াও ২০২১ সালে এই ভ্য়াকসিন ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছে। পরে এই ভ্য়াকসিন নিষিদ্ধ হয় অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়াতেও।

    AstraZeneca এবং ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের মধ্যে সম্পর্ক

    অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করেছে। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট অন্যান্য নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলির চাহিদা মেটাতে ভারতের জন্য কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন তৈরি করতে তাদের সঙ্গে অংশীদারিত্বের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ভারত এবং অন্যান্য দেশে বিপুল চাহিদা মেটাতে সিরাম ইনস্টিটিউট বৃহৎ পরিসরে ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। সরকারি তথ্য অনুসারে, ২০২৪ সালের এপ্রিলের মধ্যে ভারতে কোভিশিল্ডের ১.৭ বিলিয়ন ডোজ দেওয়া হয়েছে।

    করোনা ভ্যাকসিন Covishield ছাড়াও Pfizer এবং Moderna-এর কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক চলছে। দাবি করা হচ্ছে এগুলিরও মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সবচেয়ে হাই-প্রোফাইল কেসগুলির মধ্যে একটি হল জেমি স্কটের কেস। রক্ত জমাট বাঁধার কারণে অক্ষম হওয়ার পরে কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন তিনি। তিনি দাবি করেছিলেন ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে টিকা নেওয়ার পরে তাঁর মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধা এবং রক্তক্ষরণের সমস্যা তৈরি হয়।
  • Link to this news (এই সময়)