• 'মুখপাত্র ও রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ দেওয়া হোক', ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট কুণালের
    Aajtak | ০৩ মে ২০২৪
  • পদ থেকে অপসারিত হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট কুণাল ঘোষের। এবার তাঁর নিশনায়া আইপ্যাক। এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন তিনি। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের অফিশিয়াল হ্যান্ডেলকে ট্যাগ করে তিনি লেখেন, তাঁর মুখপাত্র এবং রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ যেন আইপ্যাকের প্রতীক জৈনকে নিয়োগ করা হয়। কুণাল লেখেন, 'তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক হিসেবে দলকে আমার সবিনয় অনুরোধ, 'অপদার্থ' ও 'দলবিরোধী' কুণাল ঘোষের শূন্যপদে মুখপাত্র ও রাজ্য সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আইপ্যাকের প্রতীক জৈনকে নিয়োগ করা হোক। দলটা ওরা এত ভালোভাবে চালাচ্ছে যে সাংগঠনিক পদও প্রতীকের প্রাপ্য। দলের মঙ্গল হোক।'

    বুধবার সকালে উত্তর কলকাতার ৩৮ নং ওয়ার্ডে একটি ক্লাবের রক্তদান শিবিরে আমন্ত্রিত ছিলেন কুণাল এবং উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। একই মঞ্চে দু'জনকে দেখা যায়। সেখানেই তাপসের সামনে তাঁর প্রশংসা করেন কুণাল। তিনি বলেন, 'তাপস রায় যত দিন জনপ্রতিনিধি ছিলেন, তত দিন মানুষকে পরিষেবা দিয়েছেন। দিন-রাত তাঁর দরজা মানুষের জন্য খোলা থাকত। এলাকার মানুষকে ঠিক করতে দিন, কাকে তাঁরা প্রার্থী হিসাবে বেছে নেবেন। ছাপ্পা ভোট যেন না হয়।' এর কয়েক ঘণ্টা পরই তৃণমূলের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয় যে, দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সরানো হল কুণালকে। তৃণমূলের তরফে লেখা হয়েছে, 'সম্প্রতি কুণাল ঘোষ এমন অনেক কথা বলেছিলেন যা, দলের মতামতের সঙ্গে মেলে না। তাই এটা বোঝানো অত্যন্ত দরকার ছিল যে, উনি যা বলছেন, তা সম্পূর্ণ ভাবে তাঁর ব্যক্তিগত মত। এর সঙ্গে দলের ভাবনার কোনও সম্পর্ক নেই।' প্রসঙ্গত, সম্প্রতি তৃণমূলের তারকা প্রার্থী দেবকে নিয়েও এক মন্তব্য করেছিলেন কুণাল। যা ঘিরেও সরগরম হয়েছে রাজ্য রাজনীতি।

    বুধবারের পর বৃহস্পতিবার লোকসভা ভোটে তৃণমূলের 'তারকা প্রচারকে'র তালিকা থেকেও কুণালকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলে পদ হারানোর পর এবার কর্মীদের কাছে আবেগতাড়িত হয়ে কেঁদে ফেলেন কুণাল ঘোষ। বৃহস্পতিবার বিকেলে তৃণমূলের কর্মীদের একাংশের সঙ্গে দেখা হয় কুণালের। তাঁদের সামনেই কাঁদতে দেখা যায় কুণালকে। একই সঙ্গে তৃণমূলে থাকবেন কিনা, সে নিয়ে নিজের অবস্থানও স্পষ্ট করেন কুণাল।

    তৃণমূলে কুণাল থাকছেন কিনা এই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। এই আবহে বৃহস্পতিবার তৃণমূলের প্রাক্তন মুখপাত্র বললেন, 'মন থেকে তৃণমূল করলে কেউ সেই অধিকার কেড়ে নিতে পারবে না। কর্মীদের অপমান করা যাবে না। পদ নয়, পথে আছি। কর্মীদের পাশে আছি। মমতাদি-অভিষেক আজ হোক বা কাল অনুধাবন করবেন, এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে দল চালিয়ে যাব।'
  • Link to this news (Aajtak)