Alipore Zoo : এক যুগ পর কিং কোবরা আলিপুর চিড়িয়াখানায়
এই সময় | ০৩ মে ২০২৪
এই সময়: নিছক কথার কথা নয়। কোনও ফিল্মি ডায়লগও নয়। সত্যিই ‘এক ছোবলেই ছবি’ করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে সে। সাপের এমন একটি প্রজাতির প্রতিনিধিকে এ বার দেখা যাবে আলিপুর চিড়িয়াখানাতেও। মানুষ তো কোন ছার, একটি পূর্ণবয়স্ক হাতিকেও কপালে ছোবল দিয়ে তাকে নিকেশ করার নজির রয়েছে শঙ্খচূড়ের। কিং কোবরা। দুনিয়ার বিষধর সাপেদের মধ্যে সব চেয়ে লম্বা এবং এক ছোবলে যে কি না সব চেয়ে বেশি বিষ ঢালতে পারে। ৪০০ মিলিগ্রামের বেশি। সেই কিং কোবরাই এ বার আলিপুর চিড়িয়াখানায় এসেছে।আলিপুর চিড়িয়াখানার ‘রেপটাইল হাউস’ বিভিন্ন ধরনের সরীসৃপের ঘর। কেউটে, শাঁখামুটি, চন্দ্রবোড়া তে বটেই, তাদের সঙ্গে অজগরের মতো সাপ এখানকার প্রধান আকর্ষণ। সাপেদের দুনিয়ায় ‘অজগরের বড়দা’ হিসেবে পরিচিত অ্যানাকোন্ডার একটি প্রজাতির সাপেরও দেখা মেলে আলিপুরে। কিন্তু বিশ্বের দীর্ঘতম বিষধর সাপ ও এক ছোবলে সব চেয়ে বেশি পরিমাণ বিষ ঢালতে পারা শঙ্খচূড় বা কিং কোবরা ওই ‘রেপটাইল হাউসে’ না-থাকায় কোথাও যেন একটা অপূর্ণতা ছিল। সেই অপূর্ণতাই দূর হলো প্রায় এক যুগ পর।
উত্তরবঙ্গের একটি চা-বাগানে কয়েক মাস আগে ধরা পড়েছিল একটি শঙ্খচূড়। তাকে প্রথমে নর্থ বেঙ্গল ওয়াইল্ড অ্যানিমাল পার্ক বা বেঙ্গল সাফারিতে রাখা হয়েছিল। কিন্তু সাপটির রক্ষণাবেক্ষণের সুবিধে এবং অসুস্থ হলে উন্নততর চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার কথা ভেবে তাকে উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। আলিপুর চিড়িয়াখানার অধিকর্তা শুভঙ্কর সেনগুপ্ত বলছেন, ‘আলিপুরে শঙ্খচূড় কিন্তু প্রায় দশ-বারো বছর আগে ছিল। এরা যে খুব বিরল প্রজাতির সাপ, তা নয়। উত্তরবঙ্গের জঙ্গলে এবং সুন্দরবনে শঙ্খচূড় রয়েছে ভালো সংখ্যায়। পরিবেশ ও বাস্তুততন্ত্রর জন্য এরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
সর্প বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পৃথিবীতে যত প্রজাতির বিষধর সাপের দেখা মেলে, তাদের মধ্যে শঙ্খচূড় দীর্ঘতম। এর দৈর্ঘ্য সাধারণত ১০ ফুট থেকে ১৪ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। তবে এখনও পর্যন্ত ধরা পড়া বিভিন্ন কিং কোবরার মধ্যে ১৮ ফুটেরও বেশি দৈর্ঘ্যের একটি সাপ পাওয়া গিয়েছে। বিষের তীব্রতায় শঙ্খচূড়ের চেয়ে এগিয়ে থাকবে এমন সাপ রয়েছে বেশ কিছু প্রজাতির। কিন্তু তাদের কেউই শঙ্খচূড়ের মতো এত বেশি পরিমাণে বিষ ঢালে না বলেই সর্প বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন।