BJP-র রাজ্য কমিটিতে নয়া সদস্য, ভোটের সময় বড় সিদ্ধান্ত সুকান্তর
এই সময় | ০৩ মে ২০২৪
তাঁর প্রার্থীপদ অনিশ্চিত। এই অবস্থাতে বীরভূমের ঘোষিত BJP প্রার্থী তথা প্রাক্তন IPS অফিসার দেবাশিস ধরকে নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল গেরুয়া শিবির। তাঁকে নয়া দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁকে বঙ্গ BJP-র রাজ্য কমিটির সদস্য হিসেবে নিযুক্ত করেছেন রাজ্য BJP সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।এর আগে দেবাশিস ধর বলেছিলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। তাই দলেও সেই ধরনের কোনও কাজ করতে আগ্রহী। এদিকে তাঁর মনোনয়ন ইতিমধ্যেই খারিজ হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে দেবাশিস ধরকে এই দায়িত্ব দেওয়া অত্যন্ত ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, অন্যান্য কেন্দ্রের তুলনায় এবার বীরভূমের প্রার্থী ঘোষণায় কিছুটা সময় নিয়েছিল BJP। সেখানে প্রার্থী করা হয় প্রাক্তন IPS দেবাশিস ধরকে। তিনি পদ থেকে ইস্তফা দিলেও রাজ্যের তরফে নো ডিউস দেওয়া হয়নি। এদিকে এই নথি জমা দিতে না পারায় তাঁর মনোনয়ন বাতিল করে দেয় নির্বাচন কমিশন। আপাতত তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। তবে গোটা বিষয়টিই আপাতত রয়েছে নির্বাচন কমিশনের উপর।
এই পরিস্থিতিতে দেবাশিস ধরকে বিস্তর কটাক্ষের সম্মুখীন হতে হয়েছে। বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায় তাঁর প্রার্থী না হতে পারা নিয়ে আফসোস প্রকাশ করেও ‘লগ্নভ্রষ্টা’ বলে কটাক্ষ করেছেন। এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠছিল যদি দেবাশিস ধর প্রার্থী না হন, সেক্ষেত্রে তাঁর রাজনৈতিক ক্ষেত্রে কী ভূমিকা হবে? এবার তা অনেকটাই স্পষ্ট করে দিল রাজ্য BJP, মনে করা হচ্ছে এমনটাই।
প্রসঙ্গত, দেবাশিস ধরকে প্রার্থী করার পর ফের একবার শীতলকুচি প্রসঙ্গ উঠে এসেছিল। তাঁকে আক্রমণ করেছিলেন তৃণমূল নেতারা। এদিকে ইতিমধ্যেই বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে বিকল্প প্রার্থী হিসেবে দেবতনু ভট্টাচার্য মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, প্রচারেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। প্রচার ময়দানে নেমে হুংকার দিয়েছেন দেবতনু। তিনি বলেছেন, ‘BJP- থেকে যেই দাঁড়াবেন মানুষ তাঁকেই ভোট দেবেন। কারণ এক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদীই প্রধান মুখ।’
অন্যদিকে, রাজনৈতিক মহলের একাংশের কথায়, বীরভূমে নীচু তলার কর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। তাঁরা বুঝে উঠতে পারছেন না প্রার্থী আসলে কে? কার হয়ে প্রচার চালাবেন তাঁরা? যদিও BJP নেতাদের দাবি, মোদীজির উপর সাধারণ মানুষের ভরসা রয়েছে। আর তাঁকে দেখেই লোকসভা নির্বাচনে ভোট দেবেন সাধারণ মানুষ।