• হবে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি, স্বস্তি নিয়ে আসছে লা নিনা! সুখবর আবহাওয়া দফতরের
    এই সময় | ০৩ মে ২০২৪
  • মার্চ এপ্রিলের তীব্র গরমে হিমসিম খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। বাংলা সহ গোটা দেশ পুড়ছে অসহ্যকর রৌদ্রতাপে। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে তাপপ্রবাহের সতর্কতা আগেই জারি করেছিল আবহাওয়া বিভাগ। আবহবিদরা বলছেন, মে মাসেই রেহাই মিলবে না হাঁসফাঁস করা গরম থেকে। তবে জুন মাস মানেই বর্ষাকাল। কিন্তু চলতি বছরে গ্রীষ্ম-বর্ষার সমীকরণটা অনেকটাই বদলাবে বলে জানিয়েছেন আবহবিদরা। তবে এরই মদ্যে আশার আলো দিয়েছেন তাঁরা, জানিয়েছেন লা নিনার প্রভাবে প্রচুর বৃষ্টি হবে আগস্ট মাসে।চলতি বছরের মার্চ মাস থেকেই তীব্র দহনজ্বালা সহ্য় করছে গোটা দক্ষিণ এশিয়া। কোথাও কোথাও তাপমাত্রার পারদ ছুঁয়েছে ৪০-৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে একফোঁটা বৃষ্টির আশায় দিন গুনছে মানুষ। এরমাঝে আশার আলো দেখাচ্ছেন আবহবিদরা। কিছু দিনের মধ্যেই বহু প্রত্যাশিত বৃষ্টির দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ।

    চলতি বছর বর্ষার মরশুমে দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ জায়গায় অতিবৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। এককথায় প্রথমে ভয়ঙ্কর তাপপ্রবাহ এবং গরম আবার পরে মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টিতে ভিজতে চলেছে দক্ষিণ এশিয়া। অতিরিক্ত বৃষ্টিতে কৃষিকাজের ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    মঙ্গলবার সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট আউটলুক ফোরাম এক প্রতিবেদনে এমনই আশঙ্কার কথা জানিয়েছে।

    প্রতিবেদে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের দক্ষিণ-পশ্চিম বর্ষা মরশুমে অর্থাৎ জুন থেকে সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ অংশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। তবে উত্তর, পূর্ব এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কিছু এলাকায় স্বাভাবিকে তুলনায় কম বৃষ্ট হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

    আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, মূলত লা নিনার কারণেই এবছরের বর্ষা মরশুমে দক্ষিণ এশিয়ার বিশাল অংশে অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে।

    প্রসঙ্গত, প্রশান্ত মহাসাগরের পেরু-ইকুয়েডর উপকূল বরাবর কোনো কোনো বছর দক্ষিণমুখী উষ্ণ সামুদ্রিক স্রোতের প্রবাহ লক্ষ্য করা যায়। এই অবস্থাকে বলে এল নিনো। এর বিপরীত দশার নামই লা নিনা। আর এই লা নিনাই এবছর স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৬ শতাংশ বেশি বৃষ্টি নিয়ে আসছে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। কাঠফাটা গরমের পর এই বৃষ্টি কৃষকদের সহায় হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। চলতি বছরে দেশে ১০৬ শতাংশ বৃষ্টি হতে পারে দেশে।

    এমনকি লা নিনার প্রভাবে হওয়া বৃষ্টির আশীর্বাদ থেকে বাদ যাবে না বাংলাও। উত্তরবঙ্গে এবছর স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকাতেও স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন।

    মৌসম ভবনের ডিজি মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, লা নিনা থাকলে সামগ্রিক ভাবে দেশে যেমন বেশি বৃষ্টি হয় তেমনই ওড়িশা, দক্ষিণবঙ্গের কিছু অংশে স্বাভাবিকের তুলনায় আবার কম বৃষ্টি হয়। আসলে ১৫ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে কতটা বৃষ্টি হচ্ছে তার উফরই বেশি খেয়াল রাখা জরুরি। ওই সময় পর্যাপ্ত বৃষ্টি হলে হাসি ফুটবে কৃষকদের মুখে। কারণ বছরের ওই সময়টাতেই আমন ধান রোপনের কাজ চলে।
  • Link to this news (এই সময়)