দেশে চলছে নির্বাচনী লড়াই। ইতিমধ্যেই ২ দফার ভোট হয়ে গিয়েছে। আরও ৫ বছর দফার নির্বাচন বাকি রয়েছে। তবে নির্বাচনে কার জয় হবে, কার দখলে ক'টা আসন থাকবে, সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই চলছে তীব্র জল্পনা। এরই মাঝে ভোটের সম্ভাব্য ফলাফলের ভবিষ্যদ্বাণী করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।নদিয়ার তেহট্টের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, 'তৃণমূল গোটা দেশে ১৫ আসনও জিততে পারবে না। তৃণমূল কি ১৫ আসন নিয়ে সরকার গঠন করতে পারবে? কংগ্রেসও যত জোরই লাগাক এই বছর হাফ সেঞ্চুরি করা মুশকিল। ৫০ আসন পাওয়ার ক্ষেত্রেও তারা মুশকিলে রয়েছে। ৫০ আসনও না পেলে তারা কি সরকার গড়তে পারবে? একটা সময় এখানে বাম মোর্চার সূর্য অস্ত যেত না, এখন এখানে লালঝান্ডা চোখেই পড়ছে না। তারাও কি সরকার গড়তে পারবে? এই নির্বাচনে এটা পরিষ্কার যে, যদি কেউ সরকার গড়তে পারে, সেটা শুধু মাত্র বিজেপি - এনডিএ সরকার।'
মোদী আরও বলেন, 'এখন আলোচনা চলছে এনডিএ ৪০০ পার করবে কি না। যাঁরা আমাদের বিরোধী তাঁরা বলছেন, এনডিএ ৪০০ পার করবে না। আর যাঁরা ময়দানে কাজ করছে, তাঁরা বলছেন ৪০০ পার হবে। আর ইন্ডিয়া জোটের শরিকদের লড়াই এই নিয়ে যে বিপক্ষে যারা জিতে আসবে, তাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় দল কে হবে!'
যদিও নরেন্দ্র মোদী ভোটের ফলাফল নিয়ে এমন 'ভবিষ্যদ্বাণী' করলেও, ইতিমধ্যেই তৃণমূলের তরফে অবশ্য অন্যরকম দাবি করা হয়েছে। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিভিন্ন জনসভা থেকে বারেবারেই বলতে শোনা গিয়েছে যে বিজেপি এবার ক্ষমতায় আসবে না। বরং ভোটের পর ইন্ডিয়া জোট সরকার গড়বে এবং তার নেতৃত্ব বাংলাই দেবে।
এদিন রাজ্যে একাধিক সভায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। তেহট্টের আগে বর্ধমানে সভা করেন নরেন্দ্র মোদী। বর্ধমানের সভা থেকেও তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। সেই সভায় মোদীর মুখে উঠে আসে এসএসসি মামলার রায়ে চাকরিহারা থেকে সন্দেশখালির প্রসঙ্গ। এদিন নরেন্দ্র মোদীর মুখে শেখ শাহজাহানের নামও শোনা যায়। আবার 'যোগ্য' চাকরিহারাদের জন্য বিজেপির রাজ্য ইউনিটের তরফে লিগ্যাল সেল ও একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম খোলা হবে বলেও এদিন জানিয়ে দেন মোদী।