এসএসসি-র 'যোগ্য' চাকরিহারাদের জন্য বড় পদক্ষেপ, ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
এই সময় | ০৩ মে ২০২৪
হাইকোর্টের রায়ে চাকরি হারিয়েছে ২৫ হাজার ৭৫৩ জন। চাকরিহারাদের মধ্যে কারা যোগ্য, আর কারাই বা অযোগ্য, তা নিয়ে জারি রয়েছে বিস্তর চর্চা। চাকরিহারাদের অনেকেই দাবি করছেন, তাঁরা নিয়ম মেনে বৈধ উপায়ে চাকরি পেয়েছেন। এরই মাঝে এবার 'যোগ্য' চাকরিহারাদের জন্য বড় ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর।প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমরা জানি শিক্ষক নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে, তাতে পীড়িতদের জীবন কতটা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। আমাদের রাজ্য সভাপতি এখানে রয়েছেন, তাঁকে আমার পরামর্শ, এই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে অনেক নির্দোষ মানুষও রয়েছেন। যাঁরা সত্যিই শিক্ষকের চাকরির দাবিদার, তাঁরা বাকিদের পাপের কারণে, সমস্যায় পড়েছেন। আমি রাজ্য সভাপতিকে বলেছি, আমরা দলের যাঁরা সৎ তাঁদের কী ভাবে সাহায্য করতে পারি! আমি বলেছি, প্রদেশ স্তরে একটি লিগ্যাল সেল ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম খোলা হোক। এতে যাঁরা সঠিক নথিপত্র থাকার পরেও সমস্যায় পড়েছেন, তাঁদের সুবিধা হবে এবং তাঁদের ন্যায় দিতে সম্পূর্ণ ক্ষমতা নিয়ে কাজ করবে।'
আমি বলেছি, প্রদেশ স্তরে একটি লিগ্যাল সেল ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম খোলা হোকনরেন্দ্র মোদী
এই প্রসঙ্গে নরেন্দ্র মোদী আরও বলেন, 'আমরা সৎ-দের পাশে থাকব। নির্বাচন চলতে থাকুক, কিন্তু বাংলার ইউনিট এই কাজ করবে। যাঁরা দোষ করেছেন তাঁরা সাজা পাবেন। কিন্তু অনেক সৎ মানুষ রয়েছেন, যাঁদের কাছে আসল উপযুক্ত ডিগ্রি রয়েছে, তাঁরাও ফেঁসে গিয়েছেন। যাঁরা সৎ, তাঁদের ন্যায় দিতে রাজ্য ইউনিট কাজ করবে, এটা মোদীর গ্যারান্টি।'
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই এসএসসি মামলার রায় ঘোষণা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই রায়ে ২০১৬ সালের গোটা প্যানেলই বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। তার ফলে চাকরি হারিয়েছেন ২৫ হাজার ৭৫৩ জন। আদালতের সেই রায়কে ঘিরে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে রাজ্য তথা জাতীয় রাজনীতিতে। এই রায়ের তুমুল সমালোচনা করেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নয়, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই বিষয়ে আদালতের একাংশকে নিশানা করেছেন। পাশাপাশি আক্রমণ করা হয়েছে বিজেপিকেও।
এদিকে এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য সরকার এসএসসি ও মধ্য শিক্ষা পর্ষদ। ইতিমধ্যে সেই রায়ের শুনানিও হয়ে গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। তবে শুনানিতে চাকরি বাতিলের উপরে কোনওরকম স্থগিতাদেশ দেয়নি দেশের সর্বোচ্চ আদালত। আগামী সোমবার মামলার পরবর্তী শুনানি। এখন সেই শুনানির দিকেই তাকিয়েই চাকরিহারারা।