পাত্র চিকিৎসক, এই বিশ্বাসেই বিয়ের আয়োজন, ছাদনাতলায় পর্দাফাঁস
এই সময় | ০৩ মে ২০২৪
বিয়ে করতে গিয়ে আর বউ নিয়ে ফেরা হল না বরের। বদলে ঠাঁই হল শ্রীঘরে। বিষয়টি শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই ঘটেছে বাঁকুড়ার জয়পুর এলাকার একটি গ্রামে। ভুয়ো পরিচয় নিয়ে বিয়ের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। ধৃত যুবকের নাম বাপি চাঁদপাড়ি। গোটা ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।জানা গিয়েছে, বছর দু'য়েক আগে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জয়পুরের এক নার্সিং পড়ুয়ার সঙ্গে পরিচয় হয় মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামের বাসিন্দা বাপি চাঁদপাড়ির। অভিযোগ প্রথম থেকেই নিজেকে এসএসকেএম-এর চিকিৎসক বলে পরিচয় দেয় বাপি। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে উভয়ের আলাপ পরিচয়। ক্রমে তা প্রেমের সম্পর্কে পরিণত হয়। বিয়ের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়।
এদিকে পাত্র নামী সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, এমনটা বিশ্বাস করেই ওই নার্সিং পড়ুয়ার পরিবারের তরফে কোনও আপত্তি তোলা হয়নি। বরং জোরকদমেই শুরু হয়ে যায় বিয়ের তোড়জোড়। নির্ধারিত দিনেই বরযাত্রী সহ বিয়ে করতে হাজির হয় বর। বাড়িও আত্মীয়স্বজনে ভর্তি। বরযাত্রীদের খাওয়াদাওয়াও প্রায় শেষের মুখে। অন্যদিকে ছাদনাতলায় বিয়ের কাজও সমানতালে চলছে। এককথায় সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল
এরই মাঝে হঠাৎ বদলে যায় বিয়েবাড়ির ছবিটা। বরযাত্রীদের মধ্যে কেউ একজন মুখ ফসকে বলে ফেলেন বর চিকিৎসক নয়, আদতে সে দুধের ব্যবসা করে। আর সেই কথা পাত্রীপক্ষের কানে পৌঁছতেই শোরগোল পড়ে যায় গোটা বিয়েবাড়িজুড়ে। বিয়ের আসর থেকে উঠে পড়েন পাত্রী। বরযাত্রীরাও যে যেদিকে পারেন চম্পট দেন। কিন্তু পালাতে পারেনি বরবাবাজি। তাকে ধারে রাখেন গ্রামের মানুষজন। একইসঙ্গে খবর দেওয়া হয় জয়পুর থানাতেও। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত মার্চ মাসে বিয়ের দিন সকালেই এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনাটি ঘটে হুগলির বৈদ্যবাটিতে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করার অভিযোগ ওঠে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। আর তার জেরে সেই বিয়েও ভেঙে যায়। খুব স্বাভাবিকভাবেই বিয়ের পিঁড়ি সাজানো থেকে শুরু করে রান্নাবান্না সহ সমস্ত আয়োজন সেরে ফেলেছিলেন মেয়ের বাড়ির লোকেরা। অপেক্ষায় চলছিল গায়ে হলুদের। ঠিক সেই সময়েই খবর আসে যে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে পাত্র। খোঁজ নিয়ে জানা যায় অন্য এক যুবতীর সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল অভিযুক্ত যুবকের। যুবতীর সঙ্গে সহবাসও করে সে। কিন্তু তারপর অন্যত্র বিয়েতে রাজি হয়। আর সেই খবর পেয়ই পুলিশের অভিযোগ করেন ওই যুবতী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয় যুবককে।